October 22, 2024, 2:56 am
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা নানা বিষয়ে একাধিকবার জাতীয় দৈনিক বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রচারের পর প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রজ্ঞাপন মতে সুপার শাহনুর আলম।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শিক্ষকতার পাশাপাশি বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার স্থানীয়র দাপটে শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায় সুপার সেজে ১২ জন শিক্ষককে চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অফিস কক্ষ দখল করে নেয়াসহ অত্র মাদরাসার সুপার শাহনুর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পায়তারার বিষয়ে একাধিকবার জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বন্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার হলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নজরে এলে তারা তৎতক্ষণিক সকল ঘটনার অবসান করে প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত অন্তর্ভুক্তসহ শাহনুর আলমকে সুপার পদে বহাল করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নির্বাহী কমিটি গঠনে ২ জানুয়ারী ২০২২খ্রিঃ ১২৭৯ স্মারকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার বইছে আনন্দের বার্তা।
প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ হওয়ায় নিজেকে সুপার পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে আবারও শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার অফিস কক্ষ দখল করে নেয়াসহ প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পায়তারা করছেন মধ্য কাশীপুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদরাসায় সহ-মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ ঘোষণার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
সহকারী শিক্ষকরা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ ঘোষণার পর থেকে আমিনুল ইসলাম মাদ্রাসা এসে অফিস দখল করে নিজেকে সুপার দাবি করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটে আসছেন।
মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবেদ আলী বলেন, আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠানে আসেন না। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায় চাকরীর বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
মধ্য কাশীপুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসায় সহ-মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসায় চাকরী ছাড়িনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে আইনি যা করার করতে পারে।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহনুর আলম বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগে আমিনুল ইসলাম গত ৩০জুন ২০১৮সালে জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল কাদেরের উপস্থিতে স্বহস্তে লিখিত ইস্তেফা দেন তিনি। প্রতিষ্ঠান সরকারী ও এমপিওভুক্ত ঘোষণা হওয়ার পর থেকে মাদরাসার অফিস কক্ষ দখল করে শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামছুল আলম জানান, প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত অন্তর্ভুক্তসহ শাহনুর আলমকে সুপার পদে বহাল করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নির্বাহী কমিটি গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।