January 15, 2025, 8:02 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ উন্নত দেশ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও রাশেদুজ্জামান ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কাঠ রিফাইন কারখানার বয়লার বিস্ফো-রণে দুইজন তানোরে জামায়াতের রাজনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন নজির হোসেন ফাউন্ডেশন নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়নে টিম চিহ্নের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নলছিটিতে জিয়া সাইবার ফোর্সের উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন থানচিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসবিএম ইট ভাটাকে জরিমানা সার ও বীজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ডিলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে-স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা নিহত
মহেশপুরে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশো নিলো মেয়ে।

মহেশপুরে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশো নিলো মেয়ে।

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)সংবাদদাতাঃ
ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে হৃদরোগে রোগে আক্রান্ত হয়ে বাবা ফয়জুল হক লাবু (৪০) মারা গেছেন। শোকে মাতম স্বজনেরা নিচ্ছেন লাশ দাফনের প্রস্তুতি। এমন অবস্থায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে মেয়ে লাবিবা নামের এক শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলো। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামে বুধবার এ ঘটনা ঘটে। লাবিবা দত্তনগর এস এম ফার্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়েন শিক্ষার্থী।
লাবিবার পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, কুসুমপুর গ্রামের মৃত দিদার বক্সের ছেলে ফয়জুল হক লাবু। তাঁর মেয়ে লাবিবা ৩ মে (বুধবার) এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজী প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। হৃদরোগে রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে ফয়জুল হক লাবুর মৃত্যু হয়। বাড়ি জুড়ে শোকের মাতম চলছে লাশ দাফনের প্রস্তুতি। বাবার মৃত্যুর পর লাবিবা ভেঙে পড়লেও স্বজনদের কথায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায় সে।
দত্তনগর এসএম ফার্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হুসাইন বলেন,লাবিবা আমার স্কুলের খুবি ভালো ছাত্রী ‘বাবাকে হারানো যে কারও জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তারপরও এসএসসি পরীক্ষার্থী লাবিবা বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আমরাও তার পরীক্ষার সময় যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
পরীক্ষা শেষে লাবিবা বলেন,‘বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। বাবা চাইতেন আমি যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। তাই এমন অবস্থায়ও আমি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। বাবার আত্মাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না।’
মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব রঞ্জন কুমার বলেন, লাবিবা ২০৪ নং রুমে স্বাভাবিক ভাবেই পরীক্ষা দিচ্ছে। লাবিবার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা সকালেই জানতে পেরেছিলাম। সবার সঙ্গে বসে পরীক্ষা দিলে তার জন্য ভালো হবে ভেবে তার জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম সে সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিক। সে এক হাতে রুমাল দিয়ে বারবার চোখ মুছছিলো। আর অন্য হাতে কলম ধরে পরীক্ষার খাতায় লিখছিলো।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD