স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : কৃষকদের বীজ সংরক্ষণের আহবান জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, পরবর্তী বছরের জন্য বীজ সংরক্ষণ করবেন, যাতে অন্য কারো কাছে যেতে না হয়। বিআরডিসি যে গমের বীজ দিয়েছে তা অঙ্কুরিত হয়নি এমন অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে এমন কোন ঘটনা ঘটলে কেউ ছাড় পাবে না। যেসব ডিলার এসব নিন্মমানের বীজ দিয়েছে তাদের লাইসেন্স বালিত করা হবে। তারা কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করতে পারবে না।
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাঠ পয্যায়ে খামারি মোবাইল অ্যাপের কাযর্কারিত যাচাই ও বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এর প্রদর্শনী ট্রায়ালের মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব আরো বলেন, কৃষি একটি পবিত্র জাগয়া। কৃষিতে কোন দুই নাম্বারি চলবে না। যুদ্ধের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার কিনেছে। ৩৫০ ডলারের সার ১১৫০ ডলার দিয়ে কিনতে হয়েছে। তারপরেও আমরা সারের দাম বাড়াইনি। জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ঋণ কিছুটা শোধ করার জন্য বঙ্গবন্ধু-১০০ নামে ধানের নাম রেখেছি। এই ধান জিংক সম্মৃদ্ধ। এই ধানের ভাত খেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে।
কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ক্রপ জোনিং প্রকল্প, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো শাহজাহান কবীর, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল খায়ের, সহ সভাপতি ইলিয়াছ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো: বাবুল শেখ বক্তব্য রাখেন। এ মাঠ দিবসে কৃষক-কৃষানীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষি মন্ত্রণালযের সচিব ওয়াহিদা আক্তার মাঠ পরিদর্শন করেন।
এরপর টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কৃষি মন্ত্রণালযের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। #
Leave a Reply