মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
ছেলের জন্মদিনে ও ইফতার উপলক্ষে দুই ছাত্রীসহ নিজের স্নেহভাজন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে আনায় বেকায়দায় পড়েছেন শিক্ষক ফজলে রাব্বী। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে করা হয়েছে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত, গঠন হয়েছে একটা তদন্ত কমিটি।
এদিকে শিক্ষকের বাসায় যাওয়া শিক্ষার্থীরা বলেছেন, শ্লীলতাহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ অভিযোগ মিথ্যা। তাকে ফাঁসাতে এ অভিযোগ। তারা পৃথক পৃথকভাবে নিজের স্থান থেকে বরখাস্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ঘটনাটি ভাউলাগঞ্জ দারুচ্ছালাম নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার। অভিযুক্ত সেখানে বিজ্ঞান বিভাগে সহকারি শিক্ষক পদে কর্মরত।
জানা যায়, বুধবার (১২ এপ্রিল) ফজলে রাব্বী প্রধান ইফতারি ও ছেলের জন্মদিনের দাওয়াত দিয়েছিল ওই শিক্ষার্থীদের। আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে রাত হয়, তাই তারা শিক্ষকের বাসাতেই অবস্থান করে। পরদিন দুই ছাত্রীকে বাসায় পৌছে দেওয়া হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর ১৫ এপ্রিল মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দেয় ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে একজন। এ নিয়ে বিদ্যালয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থতি সৃষ্টি করে এলাকার কিছু যুবক। এরপরই অভিযুক্ত শিক্ষককে তিন মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়।
অভিযোগকারী জানায়, ‘স্যার আমার ক্ষতি করে নাই, মাদ্রাসায় অনেকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে,আমার সাথেও খারাপ ব্যবহার করতে পারে। তাই আমি অভিযোগ করেছি।’
অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলে রাব্বী প্রধান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। আমি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলেই তাদের আমার বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।
মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মো.আজিবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই শিক্ষককে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে তদন্তের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আমার কাছেও মনে হচ্ছে ওই ছাত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন।
Leave a Reply