January 15, 2025, 2:47 pm
স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : ব্রেনে পানি জমতে জমতে ইতিমধ্যে শিশুটির মাথার ওজন হয়েছে ৭ কেজি। জমানো ও বিভিন্ন সময় জমি বিক্রি করা ৯ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা করালেও একমাত্র মেয়েটি সুস্থ্য হয়নি। বর্তমানে টাকার অভাবে থেমে আছে চিকিৎসা।
বলা হচ্ছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার লেবুতলা গ্রামের মোহন গাইন ও প্রজ্ঞা গাইন দম্পতির ৫ বছরের শিশু কন্যা সম্পূর্না গাইনের কথা।
পাঁচ বছরের শিশু কন্যা সম্পূর্না গাইনের বাবা মোহন গাইন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রহরী ও মা প্রজ্ঞা গাইন গৃহিণী। শিশুটিকে সুস্থ্য করতে পরিবারটির চেষ্টা যেন শেষই হচ্ছে না।
জানাগেছে, ২০১৮ সালে মোহন গাইন ও প্রজ্ঞা গাইন দম্পতির সংসারে সুস্থ্য শিশু হিসাবে জন্ম গ্রহণ করে সম্পূর্ণা। মাত্র চার মাস বয়সে জ্বর হওয়ার পর থেকেই বড় হতে শুরু করে শিশুটির মাথা। দীর্ঘদিন এলাকায় চিকিৎসা করানোর পরও কোন উন্নতি হয়নি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে। সেখানে দু’টি অপারেশন করার পরও সুস্থ্য হয়নি সম্পূর্ণা।
পরে স্থানীয়দের পরামর্শে ভারতে নিয়ে কয়েক মাস চিকিৎসা করালেও সম্পূর্ণার মাথার আকার কমেনি। পরে চিকিৎসকেরা জানায় অপারেশন মাধ্যমে শিশুটিকে সুস্থ্য করা সম্ভব। কিন্তু খরচ হবে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় দশ লাখ। কিন্তু শিশুটির জন্মের পর থেকে চিকিৎসার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৯ লাখ টাকা।
বর্তমানে দশ লাখ টাকা জোগার করতে না পাড়ায় থেমে আছে সম্পূর্ণার চিকিৎসা। তাই শিশুটির চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বজনেরা।
সম্পূর্ণার চিকিৎসা পাঠাতে পারেন বিকাশ নাম্বারে ০১৯৮২ ৬৩২১৭৮ (পার্সোনাল) বা মোহন গাইন, অ্যাকাউন্ট নাম্বার-২০৫০ ৪০০ ৬৮ ০০০০০৫০৯, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, টুঙ্গিপাড়া শাখা, গোপালগঞ্জ।
সম্পূর্নার বাবা মোহন গাইন বলেন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, খুলনা, ঢাকা ও ভারতের বেঙ্গালুরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরেও একমাত্র মেয়েকে সুস্থ্য করতে পারিনি। বেঙ্গালুরু থেকে ভারতের মাদ্রাজে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসকেরা। কিন্তু সেখানে ব্যায় হবে দশ লাখ টাকার বেশি। জমানো ও জমি বিক্রি করা টাকা দিয়ে এতদিন চিকিৎসা করাতে করাতে এখন আর ভারতের মাদ্রাজে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। তাই একমাত্র মেয়েকে সুস্থ্য করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করি।
শিশুটির মা প্রজ্ঞা গাইন বলেন, মেয়েটি হাঁটাচলাও করতে পারে না। সব সময় কোলে রাখতে হয়। বেশিরভাগ সময় কান্নাকাটি করে। একমাত্র মেয়ের দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুমাতেও পারিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ আমার মেয়েটিকে বাঁচাতে আপনারা সাহায্য করুন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিজয় বাড়ৈ বলেন, পাঁচ বছরের মেয়েটাকে সুস্থ্য করতে অনেক টাকা খরচ করেছে মোহন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করতে করতে এখন শুধুমাত্র বাড়ির জায়গা টুকুই আছে। আর ভারতের মাদ্রাজে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই ওদের। তাই সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ওদের সাহায্য করার অনুরোধ করি।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আল-মামুন বলেন, শিশুটির অসুস্থ্যতার ব্যাপারে আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে জানতে পারলাম। শিশুটির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #