মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।
লালমনিরহাট সদর থানার জনগণ ও পুলিশের মধ্যে দূরত্ব ঘুচতে শুরু করেছে এখন জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা। পুলিশ এখন পূর্বের চেয়ে তাদের ভাবমূর্তিকে অনেকটাই উজ্জ্বল করেছে। সাধারণ মানুষ এখন পুলিশের সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম, বৈশ্ববিক করোনা মোকাবেলা সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে শুধু কাজ করেনি এখন অনেক ক্ষেত্রে বেশ কিছু কর্মকর্তার মানবিক কর্মকান্ডে পুলিশের প্রতি মানুষের প্রশংসা বাড়ছে।
যোগদানের পর হতে থানার চিত্রই পাল্টে দিয়েছেন। তার সর্বত্র ছুটে চলা ও কিছু মানবিক কর্মকান্ডে তিনি মানুষের মন ছুঁয়ে দিয়েছেন। কখনও পাঞ্জাবি পরে মাইক্রোফোন হাতে মসজিদের দাঁড়িয়ে, কখনও কখনও অসহায় মানুষকে সহায়তা করে। কখনও কঠিন পরিস্থতিতে নিজে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে, থানায় আসা মানুষকে কখনও সৎ পরামর্শ দিয়ে মামলা হতে বিরত রেখে সমস্যার সমাধান করে। তার এসব কর্মকান্ডের একটাই লক্ষ্য- মানুষের আস্থা অর্জন। জনগনের কাছে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তিকে উজ্জল করে ফুটে তোলাই যেন তার দৈনন্দিন জীবনের কাজ।
তাছাড়া লালমনিরহাট সদর থানায় যোগদানের
পর হতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী তামিল সহ নানা কর্মকান্ডে তিনি লালমনিরহাট জেলায় কয়এক বার ওসি হিসাবে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করেছেন। দৈনন্দিন থানায় আসা মানুষকে আইনগত সহায়তা, কখনও চিকিৎসা সহায়তা কিংবা সৎ পরামর্শ দিয়ে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কখনও কোন অসহায় মানুষ থানায় তার কাছে এসে খালি হাতে ফেরত যেতে দেখা যায় না। সবসময় এরশাদুল আলম এ সকল অসহায় মানুষের প্রতি তার মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেন। পুলিশের সেবা জনগনের দ্বারগোড়ায় পৌঁছাতে কখনও কখনও চরাঞ্চল পাশাপাশি চেয়ার টেবিল নিয়ে বসিয়েও সেবা দেন তিনি। এরশাদুল আলম কে অনেক সময় অবসর সময়ে থানার বাহিরে গিয়ে মাদক বিরোধী প্রচারনা করতেও দেখা যায়। তার মতে লালমনিরহাট সদর থানায় মাদক থাকলে তিনি থাকবেন না, তিনি থাকলে মাদক থাকবে না বলে স্পষ্ট মাদক ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারী দেন তিনি। তার এ সব মানবিক ও ব্যতিক্রমী সব উদ্যোগ নিয়ে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই পাওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তার।
লালমনিরহাট সদর থানায় এখন সারাক্ষণ ভিড় থাকে সহায়তা প্রত্যাশীদের। এরশাদুল আলম বলেন, ‘আমি মানুষের আস্থার ঠিকানা হতে চাই। জনগন স্বপ্নে যে পুলিশ প্রত্যাশা করে, আমি সেই পুলিশ হয়ে বাঁচতে চাই। শুধু পদাধিকার বলে নয়, হতে চাই জনগণের প্রত্যাশার ওসি। মানুষের মনে দীর্ঘদিন ধরে যত নেতিবাচক ধারণা সব মুছে দিতে চাই।” তিনি আরোও বলেন, মানুষের মাঝে থাকা পুলিশ ভীতি আমি দূর করতে চাই। আর এ কারনে আমি নিজেই বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় প্রতি সপ্তাহে ঘুরে সেখান থেকে মাদক, ইভটিজিংসহ অন্যান্য অপরাধ ও অপরাধী সম্পর্কে জনগনকে ধারণা দিয়ে থাকি।
ওসি এরশাদুল আলম আরোও বলেছেন, আমার থানায় যদি কোন মাদক ব্যবসায়ী এ পেশা ছেড়ে ভাল হতে চায় আমি তাদের সুযোগ দিতে চাই, শুধু তাই নয় ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহায়তা করে তাদের পূর্নবাসনের উদ্দোগ নিবো। এ বিষয়ে তিনি একটি ব্যতিক্রমী। উদ্দোগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তার এ উদ্যোগ পুলিশ- জনতা আস্থার সম্পর্ক তৈরির অপরাধ অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধেও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। সেবা গ্রহিতাদের মতে, ওসি এরশাদুল আলম একজন মানবিক পুলিশ অফিসারই নন, তিনি থানায় আসা সেবা প্রত্যাশী মানুষদের সৎ পরামর্শ ও দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এমনিই একজন এসি যার কাছে মানুষ সহজেই কথা বলার অবাধ সুযোগ পেয়ে থাকেন। তার আচারনে সেবা নিতে আসা মানুষ। সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply