গোপালগঞ্জে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ঘোড়-প্রতিযোগীর আগমন ঘটে এখানে। প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা উপভোগ করতে আশপাশের কয়েক জেলা থেকে আগত নানা বয়সের লাখো মানুষের সমাগমে স্থানটি মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রতিযোগতা শেষে দেয়া হয় পুরস্কার।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গাজী হাফিজুর রহমানের উদ্যোগে দাসেরহাট গ্রামবাসী তৃতীয়বারের মত এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করে।

একসময় দেশের জাতীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গ্রামের মানুষের চিত্ত বিনোদনের সুযোগ করে দিত ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগীতা। কিন্তু শহরের হাওয়া গ্রামে উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখন আর তেমন একটা ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগীতা দেখা যায় না।

তাই মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য সোমবার (২৭ মার্চ) বিকালে দাসেরহাট গ্রামের গো-চারণ মাঠে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগীতায় গোপালগঞ্জ, যশোর, বাগেরহাট, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ২৪টি ঘোড়া অংশ নেয়। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত কয়েক রাউন্ডে চলে এ প্রতিযোগীতা।

এ ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগীতো দেখতে গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলার শিশু ও নারীসহ হাজার হাজার দর্শনার্থী পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে। উপভোগ করেন ঘোড়দৌড় ও গ্রামীণ মেলা।

এ প্রতিযোগীতায় আমডাঙ্গার শিমুল শেখের ঘোড়া প্রথম, অভনগরের মাসুদ রানার ঘোড়া দ্বিতীয় ও অভয়নগরের নেছার ফকিরের ঘোড়া তৃতীয় হয়। পরে বিজয়ী ঘোড়ার মালিকের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা ও অন্যান ঘোড়ার মালিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আয়োজক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গাজী হাফিজুর রহমান।

দর্শনার্থী মেহের মামুন বলেন, অনেক দিন ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগীতা দেখা হয় না। এখানে অনুষ্ঠিত হবে জেনে দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভাল লেগেছে।

দর্শনার্থী পরেশ বিশ্বাস বলেন, দাসেরহাট গ্রামে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হলো। পরিবার নিয়ে দেখলাম। এমন আয়োজন দেখতে পারায় আমরা খুশি।

আয়োজক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গাজী হাফিজুর রহমান বলেন, বাঙ্গালীর হাজার বছরের ঐতিহ্যকে লালন ও ধারণ করার জন্য এবং নতুন প্রজম্ম যাতে এসম্পর্কে ধারণা পায় সেজন্য প্রতি বছরই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে গ্রামবাসী। তরুনরা এখন ঘববন্দি অবস্থায় থাকে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী এসব খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হলে তরুনরা ঘর ছেড়ে মাঠমুখী হবে। এতে তরুনরা মাদকসহ অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকবে। #

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *