আগামীকাল রবিবার গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ীতে শুরু হচ্ছে বারুণীর স্নানোৎসব

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : আগামীকাল রবিবার (১৯ মার্চ) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর উপজেলার ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ীতে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বারুণীর স্নানোৎসব ও তিন দিনব্যাপী মেলা।

শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ইংরেজী ১৮১১ খ্রিষ্টাব্দ ১১ই মার্চ কাশিয়ানী উপজেলা সাফলীডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। হরিচাঁদ ঠাকুরের বাল্য নাম ছিল হরি ঠাকুর। কিন্তু ভক্তরা তাকে হরিচাঁদ নামেই ডাকতেন। শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ফাল্গুন মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে প্রতি বছর ওড়াকান্দিতে এ স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবার শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২ তম আবির্ভাবোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

আগামীকাল রবিবার সকালে হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরী ও স্নানোৎসব কমিটির সভাপতি দেবব্রত ঠাকুর বাপ্পীসহ ঠাকুর পরিবারের সদস্যগণ কামনা সাগরে স্নান করে এ স্নানোৎসব উৎসবের উদ্বোধন করবেন। স্নানোৎসব চলবে সোমবার পর্যন্ত।

স্নানোৎসবে যোগ দিতে ঠাকুর বাড়ী আসবেন লাখ লাখ হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের মতুয়াভক্তরা। শুধু বাংলাদেশ নয় পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, চীন, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মতুয়া ভক্তের আগমন ঘটে। এ উৎসব সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় সুউচ্চ পর্যবেক্ষন চৌকি ও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি মতুয়া সংঘের প্রায় তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসবক সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। স্নানোৎসবকে ঘিরে ঠাকুর বাড়ির পাশ ঘেঁষে ৬০ একর জায়গাজুড়ে বসবে ৩ দিনব্যাপী লোকজ মেলা। মেলায় কাঠ, বাঁশ, বেত, মাটির তৈরী জিনিসপত্র ও খেলনা সামগ্রী, তালপাখা, চানাচুর, মিষ্টি দোকান, হোটেল-রেস্তোরার দোকান বসবে।

স্নানোৎসব কমিটির সভাপতি দেবব্রত ঠাকুর বাপ্পী জানান, শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাবোৎসব উদযাপন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভক্তদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্নান করে মহিলাদের কাপড় পাল্টানোসহ সকল ধরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার কারণে পর পর দু’বছর স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা বন্ধ থাকায় এবার বেশি লোকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছি। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার কয়েক লাখ বেশি মানুষের আগমন ঘটতে পারে। বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশ থেকে মতুয়া ভক্তরা এ স্নানোৎসবে যোগদান করবেন।

প্রসঙ্গত, শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ইংরেজী ১৮১১ খ্রিষ্টাব্দ ১১ই মার্চ কাশিয়ানী উপজেলা সাফলীডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। হরিচাঁদ ঠাকুরের বাল্য নাম ছিল হরি ঠাকুর। কিন্তু ভক্তরা তাকে হরিচাঁদ নামেই ডাকতেন। পিতা যশোবন্ত ঠাকুরের পাঁচ ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। পরে পার্শ্ববর্তী ওড়াকান্দি গ্রামে বসতি গড়েন শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর। সেখানে হরিচাঁদ ঠাকুরের অলৌকিকত্ব ও লীলার জন্য প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠেন। #

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *