January 15, 2025, 8:37 am
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার ঘটনায় আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল হালিম শৈলকুপার দেবীনগর গ্রামের ছাত্তার মন্ডলের ছেলে। রায়ের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ১৩ বছর পুর্বে শৈলকুপার দেবীনগর গ্রামের আব্দুল হালিমের সাথে ববিতা খাতুনের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই নানা কারণে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ববিতাকে নির্যাতন করতেন স্বামী আব্দুল হালিম। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে স্বামী আব্দুল হালিম। পরে বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি মেহগনি বাগান থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই দিনই নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আব্দুল হালিমকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় ২০১৪ সালের ২৬ মে আাদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সেই মামলার শুনানি শেষে আদালত আব্দুল হালিমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ের আগে থেকেই আসামি পলাতক রয়েছে।ববিতা খাতুনের মা ও মামলার বাদী ষাটোর্ধ্ব সালেহা বেগম বলেন, আমার একমাত্র মেয়েকে নির্মমভাবে যে মেরেছে তার বিচার আল্লাহ করেছে। আমি খুব খুশি। তবে ওই পিশাচকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। আমি মরার আগে তার বিচার দেখে যেতে চাই।বাদীপক্ষের আইনজীবী ও সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট বজলুর রশীদ বলেন, এ রায়ে আমরা খুশি। এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে বার্তা পৌঁছাবে। এরকম কাজ করতে যে কেউ ভয় পাবে।
ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান