ময়মনসিংহে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হত্যা মামলায় আরেক কিলার গ্রেফতার

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হত্যা মামলার সাথে জড়িত আরেক আসামীকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তার নাম মোঃ ফরিদ(২২) । সে কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকাধীন হাসিবাসি এলাকার আলাল উদ্দিনের পুত্র। বৃহস্পতিবার (৯মার্চ)সকাল সাড়ে ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ এর দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) নিরুপম নাগ অভিযান পরিচালনা করে কোতোয়ালী থানাধীন বাঘের কান্দা সাকিনস্থ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে ঘটনার সাথে জড়িত নিহত কনষ্টেবল সাদ্দাম হত্যার ঘটনায় তার সহোদর ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলো সাদ্দামের ভাই হাবিবুল করিম তপু ও আনোয়ারুল ইসলাম। এই নিয়ে উক্ত মামলায় মোট ৩জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে খবর পেয়ে বাদে কল্পা গ্রামের মেহগুনি বাগান থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম সাদ্দাম হোসেন। সে পুলিশ কনস্টেবল সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে সে কর্মস্থলে গড় হাজির ছিল। তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাকরা হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

তিনি আরো বলেন, মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ জানতে পায়, সাদ্দাম হোসেন প্রায় সময়ই তার চাকরির কর্মস্থলে গড় হাজির হয়ে বাড়িতে অবস্থান করত। ছুটিতে অতিবাস/গড় হাজির থাকার কারনে ইতিপূর্বে তার কর্মক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে সে মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পরে। টাকার জন্য সাদ্দাম বিভিন্ন সময় তার পিতামাতা সহ ভাইকে বিরক্তসহ নিজের তার মোবাইল ও মোটরসাইকেল পর্যন্ত বন্ধক দেয়। ঘটনার দিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার পিতামাতাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে তার সহোদর বড় ভাই হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। একই তারিখ রাত ১১টারদিকে পার্শ্ববর্তী মেহগনি বাগানে হাবিবুল করিম তপু এবং আনোয়ার ও ফরিদসহ আসামীরা অবস্থান করে ভিকটিম সাদ্দামকে ফোন করে ডেকে নেয়। সাদ্দাম কেন তাহার পিতামাতাকে লাঞ্চিত করে এবং চাকরি স্থলে কেন যায় না এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দামের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সাথে আটকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।

এসআই নিরুপম নাগ বলেন, গ্রেফতারকৃত ফরিদ কে আদালতে পাঠানো হলে সে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *