প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উৎপাদন বাড়াতে জমি অনাবাদি না রাখার আহ্বান তারাকান্দার ইউএনও মিজাবে রহমত এর

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবী স্তব্ধ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে গেছে। বৈশ্বিক এই দুর্যোগের কারণে পৃথিবীতে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু মহান স্রষ্টা বাংলাদেশকে ঊর্বর জমি দিয়েছেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশের কোনো জমিই অনাবাদি রাখা যাবে না।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও পরিদর্শনে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর উৎপাদন বাড়াতে
অনাবাদি জমি না রাখতে উপজেলার বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় কৃষকদের প্রতি
আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন। তারাকান্দা উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রাম পরিদর্শন পূর্বক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও মিজাবে রহমত।

ইউএনও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, আমরা যেন এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি না রাখি। সেই লক্ষ্য নিয়েই সমগ্র বাংলাদেশের ন্যায় তারাকান্দা উপজেলার প্রতিটি কৃষকদের মাঝে সরকার বিনামূল্যে সার, বীজ কীটনাশকসহ নানা ধরনের কৃষিযন্ত্র ভর্তুকিতে বিতরণ করছে উপজেলা প্রশাসন। আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমরা যদি অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে পারি সেক্ষেত্রে অন্যদেরও সহায়তা করা যাবে।

ইউএনও মিজাবে রহমত বলেন, বাংলাদেশ একটি খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। সেই খাদ্য ঘাটতির দেশকে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব, সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও সঠিক সিদ্ধান্ত খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তর করেছে। সরকার কৃষিতে নানাবিধ ভর্তুকি দেওয়ার মাধ্যমে শাক-সবজি, বীজ ও কীটনাশকের নিশ্চয়তা বিধান করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন।

তিনি বলেন, তারাকান্দায় প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হয়, সারা বাংলাদেশেই শাক সবজির প্রচুর ফলন হয়। আমাদের জমিতে তিনবার ফসল হয়। কোনো কোনো জমিতে চার ফসলও হয়। সেজন্য কৃষকদের মাঝে নানা ধরনের সবজি বীজ বিতরণ করেছি। যাতে তারা শাক-সবজি ফলাতে পারেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *