নজরুলের এক ডাম্পার অবৈধ বালি সাড়ে চার হাজার

মোঃ কাউছার উদ্দীন শরীফ, ঈদগাঁও,কক্সবাজার।

কক্সবাজারের খুটাখালীতে নদী থেকে কাউকে তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মহা উৎসব চালাচ্ছে পরিবেশ বিধ্বস্তকারীরা। নদী থেকে বালি উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে শত শত একর ফসলি জমি, বাড়িঘর ও বাগান-বাড়িসহ নদীর আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। তাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে নদীর পাড়ের মানুষরা। বালি উত্তোলন অব্যাহত রাখায় এলাকার বেশ কিছু পরিবার ইতিমধ্যে তাদের ভিটেবাড়ি হারিয়েছে। তবুও থেমে নেই নদী থেকে নজরুল ইসলাম অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, হুমকির মুখে ফসলি জমি ও বসতভিটা। এ কারণে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ওই এলাকার নদীর পাড়ের বাসিন্দারা।

সরেজমিন দেখা যায়, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পোক পাড়া বাংলালিংক টাওয়ারের পাশে এলাকায় দিন-রাত অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে নজরুল নামের এক ব্যক্তি। দিনের পর দিন বালি উত্তোলন করলেও মানছে না কারও বাধা। যদি কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা মুখ খুলে তাহলে হুমকি-ধমকি ও অপহরণসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে নিশ্চুপ করে দেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাদের বাধার পরওয়ানা না করে চালিয়ে যাচ্ছে বালি উত্তোলন, চোখের সামনে মানুষের সহায়-সম্পত্তি বিলীন হতে দেখেও তারা বালু উত্তোলন থেকে বিরত থাকছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এলাকাবাসীর কয়েকজন জানান, এলাকার নজরুল ইসলামসহ প্রভাবশালী একটিচক্র মিলে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে জড়িত। পরিবেশ ধ্বংসকারী বালিখেকোরা প্রতিদিন এইভাবে বালি উত্তোলন করায় বর্ষার শুরুতে ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অত্র ইউনিয়নের নদী পাড়ের ঘরবাড়ি। আর কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খুললে তাকে সন্ত্রাসী দিয়ে নানা ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। কিন্তু এটি দেখার কেউ নেই।

অপর আরেকজন বলেন, আমি যখন প্রতিবাদ করতে গেলাম তখন সে নানান হুমকি দিয়ে বলেন, আমি নদী থেকে বালি উত্তোলন করার জন্য সরকার থেকে ডাক নিয়েছি। আমার হাত অনেক লম্বা, কেউ এই বিষয়ে কথা বললে খবর আছে। তাই এলাকার সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসী ও তার ভয়ের কারণে সামনাসামনি মুখ খুলতে নারাজ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ড্রাইভার এফান বলেন,আমরা সব কিছু ম্যানেজ করে এক গাড়ি সাড়ে হাজার টাকা করে বিক্রি করছি।

খুটাখালী বিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, রেঞ্জ কর্মকর্তা অনুমতি পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।

অবৈধ বাল উত্তোলন রোধে জনগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, গণমাধ্যম সবাইকেই দায়িত্বশীল এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করা উচিত। আমাদের বর্তমান কাজের দ্বারাই ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অত্র এলাকার সাধারণ জনগণ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *