পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে রিয়াজকে

নাজিম উদ্দিন রানাঃলক্ষ্মীপুরে (কাঠমিস্ত্রী) ফার্ণিচারের নকশার কারিগর রিয়াজ হোসেন (২৫) হত্যার ঘটনায় কাউছার হোসেন ও রাকিব হোসেন নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রিয়াজের সঙ্গে কাউছারের স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড ঘটনা ঘটানো হয়। এরপর অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে রিয়াজের পরিবারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অভিযুক্তরা।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পে এ আয়োজন করা হয়।

এর আগে তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শুক্রবার ভোরে মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকা থেকে কাউছারকে ও চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। কাউছার যাদৈয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ও রাকিব তেয়াওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের বিনোদধর্মপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কাউছার ও ভিকটিম রিয়াজ একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে। এ সুযোগের কাউছারের বাসায় তার আসা যাওয়া ছিল। এতে কাউছারের স্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এরমধ্যে কাউছার সন্দেহ করে তার স্ত্রীর সঙ্গে রিয়াজের পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি অভিযুক্ত রাকিবকে কাউছার জানায়। এতে তারা রিয়াজকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মোবাইলফোনে কল করে মান্দারী বাজার এলাকার উম্মে সালমা ভবনে ভাড়া বাসায় কাউছার তাকে ডেকে নেয়। দুই মাস আগে তারা দুইজন ওই বাসা ভাড়া নেয়। এরপর চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে রিয়াজকে অচেতন করা হয়। পরে হাতগপা বেঁধে মাথায় আঘাত ও নাকে-মুখে গামছা পেঁছিয়ে তাকে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এরপরই তারা দরজার বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। শুক্রবার ভোরে ভাড়া বাসা থেকেই রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে রিয়াজের মা খুরশিদা বেগম তার ছেলে অপহরণের বিষয়ে জানিয়ে র‍্যাবের কাছে সহযোগীতা চায়। তদন্ত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমে রিয়াজের সহকর্মী কাউছারকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডে সহযোগী রাকিবের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব ১১ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ভিকটিমের মা খুরশিদা বেগমের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *