ধর্ষন মামলায় উচ্চ আদালতে চেয়ারম্যান ফরিদের জামিন বাতিল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে একটি ধর্ষন মামলায় জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি এ্যাডঃ বজলুর রহমান খবর নিশ্চত করে জানান, ধর্ষক ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন বাতিলের জন্য হাই কোর্টের এ্যপিলেট ডিভিশনে আবেদন করলে তাঁর জামিন বাতিল হয়। জামিন বাতিল হওয়ার পর ফারুকুজ্জামান ফরিদ বুধবার নি¤œ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত তার জামিন অগ্রহ্য করে জেল হাজতে পাঠান। পুলিশ ও আদালত সুত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল চম্পা খাতুন নামে এক নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় নিজে বাদি হয়ে চেয়ারম্যান ফরিদ ও তার গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করেন। ১৫ এপ্রিল ওই নারী একজন বিচারপ্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যানের দারস্থ হলে ফারুকুজ্জামান ফরিদ তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার নরহরিদ্রা গ্রামে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষন করেন। ধর্ষন মামলা দায়েরের পর উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন চেয়ারম্যান ফরিদ। পরবর্তীতে ডিএনএ টেষ্টে ফরিদের সম্পৃক্তা ধরা পড়ে। ধর্ষিতা চম্পা খাতুন বুধবার গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিচার চাইতে গিয়ে ফরিদ চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হন তিনি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চেয়ারম্যান নরহরিদ্রা গ্রামে তার গ্রামের বাড়িতে ডেকে নেন। গ্রামের বাড়িতে পৌছালে তাকে দুইতলার একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং নেশা জাতীয় কিছু সেবন করিয়ে ফরিদ ধর্ষন করে। এদিকে চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ তার বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা হওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন বিষয়টি তার বিরুদ্ধে সম্পুর্ণ ষড়যন্ত্রের অংশ। এদিকে চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা ও একাধিকবার কারাগারে গেলেও নৈতিক স্খলণের দায়ে তার বিরুদ্ধে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। প্রশাসনের অনুকম্পায় এখনো ফরিদ বহাল তবিয়তে চেয়ারম্যান পদে বহাল রয়েছেন।

ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *