January 15, 2025, 9:15 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ উন্নত দেশ গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও রাশেদুজ্জামান ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কাঠ রিফাইন কারখানার বয়লার বিস্ফো-রণে দুইজন তানোরে জামায়াতের রাজনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন নজির হোসেন ফাউন্ডেশন নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও টেকসই উন্নয়নে টিম চিহ্নের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নলছিটিতে জিয়া সাইবার ফোর্সের উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন থানচিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসবিএম ইট ভাটাকে জরিমানা সার ও বীজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ডিলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে-স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা নিহত
স্কুল ফিডিং বন্ধ, ধর্মপাশায় স্কুলে আসতে চায় না শিক্ষার্থীরা

স্কুল ফিডিং বন্ধ, ধর্মপাশায় স্কুলে আসতে চায় না শিক্ষার্থীরা

শান্ত তালুকদার
মধ্যনগর প্রতিনিধি:
দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় খুদে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিতে ২০১০ সালে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম চালু করে সরকার। শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমানোসহ বেশ কিছু উদ্দেশ্য ছিল এ কার্যক্রমের। চালু হওয়া প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে কয়েক দফা। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় দেশের দারিদ্র্যপীড়িত ৩৫টি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে প্রতিদিন টিফিন হিসেবে বিস্কুট খেতে দেওয়া হতো। সরকার ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) সহায়তায় পরিচালিত এই প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সর্বশেষ গত জুন মাসের পর থেকে এ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ।

এর প্রভাব পড়েছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। দ্রুত স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু করা না হলে পুরো সময়ে শিক্ষার্থী ধরে রাখা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।

ধর্মপাশা উপজেলায় ১১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

সেলবরষ ইউনিয়নের মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের হাওরাঞ্চলের মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। আমাদের অঞ্চলে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার কমে গেছে। তাই সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, অচিরেই যাতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি আবার চালু করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, আমরা আগে বিদ্যালয়ে এলে টিফিনে আমাদের বিস্কুট দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন আর বিস্কুট পাচ্ছি না। যার ফলে আমাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে চায় না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন টিফিনে বিস্কুট বিতরণ প্রকল্পটি বন্ধ রয়েছে। প্রকল্পটি চালু হলে আবার বিস্কুট বিতরণ শুরু হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, আবারও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শান্ত তালুকদার।।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD