January 15, 2025, 11:58 am
মোংলা প্রতিনিধি।
দস্যুমুক্তর পর এবার সুন্দরবনকে বিষমুক্ত (কীটনাশক) করার কাজ শুরু করেছেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মহসিন উল হাকিম। ১৪ ফেব্রুয়ারী সুন্দরবন দিবসে সুন্দরবনকে বিষমুক্ত করার অঙ্গিকার নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা ষ্টেশন কার্যালয় এলাকা থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। জিউধারা ফরেস্ট অফিস থেকে বের হওয়া একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বিশেষ প্রচাভিযান চলে ওই এলাকা জুড়ে। এতে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ কনজারভেশন ফোরাম, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের সদস্যসহ বননির্ভরশীল জেলে-বাওয়ালীরা অংশ নেন। সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দেয়া বন্ধে এই প্রথম সুন্দরবন দিবসে চালানো প্রচারাভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে বনবিভাগের জিউধারা ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান ও বিষেশ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মহসিন উল হাকিম। এ সময় বক্তারা সুন্দরবনকে বিষমুক্ত করার ক্ষেত্রে সকলকে সজাগ থেকে বনবিভাগকে সহযোগীতা করার আহবাণ জানান। বন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান বলেন, সুন্দরবন দিবসে সুন্দরবনকে বিষমুক্ত করার প্রচারাভিযান চালানো হয়েছে। যাতে বন সংলগ্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি বনের অভ্যন্তরে বিষ প্রয়োগ থেকে সকলে বিরত থাকেন। এছাড়া দসুমুক্ত সুন্দরবন গড়ার কারিগর যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মহসিন উল হাকিম জিউধারা এলাকা থেকে বিষ প্রয়োগ বন্ধে প্রচারাভিযানসহ নানা কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবনের জিউধারা ষ্টেশনের জিউধারা ও আমুরবুনিয়া এলাকায় বিষমুক্ত প্রচারাভিযান ও মাঠসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমরা বনবিভাগ ও সুন্দরবন নির্ভরশীলদের কাছে অতি প্রিয়জন ও পরোপকারী বন্ধু সাংবাদিক মহসিন উল হাকিম উপস্থিত থেকে বিষ প্রয়োগ বন্ধে সকলকে সচেতন এবং এহীন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহবাণ জানান। যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মহসিন উল হাকিম বলেন, জেলেদের আহৃত মাছ ক্রেতারা দামে কিনে থাকেন, যদি তার কাছাকাছি দামও পেতেন তাহলে বিষ প্রয়োগ প্রথা চালু হতো না। একদিকে মাছের দাম কম পাওয়ায় ও অপরদিকে প্রচুর মাছের আশায় এক শ্রেণীর জেলেভেসী দুর্বৃত্তরা অধিক মুনাফার লোভে বিষ প্রয়োগের কাজ করছেন। অর্থাৎ একবারেই অধিক মাছের আশায় বিষ প্রয়োগের এ ঘটনা ঘটছে। সুতরাং এ বিষ বন্ধে এখন থেকেই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হোক। সুন্দরবনের জিউধারা থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে পুরো বনজুড়ে। তিনি বলেন, যেভাবে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ও হরিণ শিকারীদের প্রতিহত করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিষ প্রয়োগকারীদেরকে প্রতিহত করতে হবে। এতে স্থানীয়দেরকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি বনবিভাগকে সহযোগীতা করতে হবে। আর আইনি বিষয়টি বনবিভাগ তো দেখছেনই। উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কাজ শুরু করেন ঢাকার সাংবাদিক মহসিন উল হাকিম। তার প্রচেষ্টায় সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হয়েছে। এখন বিষ দস্যুমুক্ত করতে বনবিভাগের সাথে কাজ শুরু করেছেন তিনি। সুন্দরবন দিবসেই তিনি বনবিভাগের সহায়তায় বননির্ভরশীলদেরকে নিয়ে এ কাজ শুরু করেছেন।