January 15, 2025, 8:41 am
হাফিজুর রহমান,
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি::
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আ’লীগ নেতা আব্দুল মজিদ মিন্টু’কে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে।
মামলার বিবরণ থেকে ও মামলার বাদী সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আ’লীগ নেতা আব্দুল মজিদ মিন্টু জানান, পৌরসভার চাতুটিয়া গ্রামের কাদের নামের এক ব্যাক্তিকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারপিট করে হত্যা করেন বিবাদী আলতাফ গংরা। হত্যার ঘটনাটার আমি এক নাম্বার সাক্ষী হওয়ায় আমার সাথে বিবাদীরা ঐ সময় থেকে শশ্রুুতা করে আসছে। এর জের ধরে গত (২৭ জানুয়ারী ২৩)ইং শুক্রবার বিবাদী আলতাফ হোসেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে এলোপাথারী মারপিট করে। এসময় অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সাক্ষর নেয় ও আলমারীর ড্রয়ার হতে ধনবাড়ী সোনালী ব্যাংকের চেক বইয়ে আমার সাক্ষরিত দুইটি চেক পাতা নিয়ে নেয়। চলে যাওয়ার সময় আমাকে বলে মামলা করলে তোকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলব বলে হুমকি দেয় আলতাফ। পরে আমার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে আহতবস্থায় উদ্ধার করে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। আমি চিকিৎসা নিয়ে ধনবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানার ভিতরে আলতাফের সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমাকে হামলা করে মারপিট করে। পরে আমি এঘটনায় টাঙ্গাইল সিনি: জুডি: ম্যাজি: ধনবাড়ী থানা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করি।
আলতাফ বর্তমানে ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। এই মামলা টি বর্তমানে পুলিশ সুপার(সি আইডি)এর কাছে তদন্তাধীন রয়েছে। মামলা দায়ের এর পর থেকেই আলতাফ গংরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা ভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আসামীদের হত্যার হুমকির ভয়ে আমি এখন বাড়ী ছাড়া। এঘটনায় আসামীদের দ্রুুত গ্রেপ্তার সহ সু-বিচরে জন্য আমি মাননীয় জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আসামীরা হলেন- চাতুটিয়া গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে (১) আলতাফ হোসেন(৬২), মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ(৫০), নওশাদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম(৩৬) সহ আরো অজ্ঞাত ৫।
এব্যাপারে বিবাদী আলতাফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মিন্টু আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ধার নেয় সেই ধারের টাকা নিয়ে ঝামেলা। আমার বিরুদ্ধে মিন্টু থানায় আভিযোগ করতে গেলে থানায় ভিতরে আমার ভাতিজা সেজনু সে রাগানিত হয়ে মিন্টুকে মারপিট করে । তবে আমি তাকে হুমকি বা মারপিট করিনি।