July 1, 2025, 8:21 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গাজীপুরে স্বামীর গোপ-নাঙ্গ কে-টে পা-লালেন স্ত্রী কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তু-লে নিয়ে যুবককে কু-পিয়ে হ-ত্যার অভি-যোগ গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন বাবু জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থানে শহী-দদের রূ-হের মাগ-ফিরাত কামনায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের দোয়া কোন ধরণের অ-পরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না- ওসি শিবিরুল ইসলাম মেধা বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই- ইউএনও মাসুদ রানা নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য জুলাই পদযাত্রা নেমেছে এনসিপি সোনাডাঙ্গা থানা নবগঠিত ১৮ নং ওয়ার্ড তাঁতী দলের আংশিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলো-ভনে ধর্ষ-ণের অভি-যোগে কনস্টেবল কা-রাগারে তানোরে পানিতে ডু-বে এক যুবকের মৃ-ত্যু
পাইকগাছায় সাদা ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ

পাইকগাছায় সাদা ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা,খুলনা।।
পাইকগাছায় সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ। ডালের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়ে। তাই পাতা শুন্য ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলে মোহিত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ২৫ হাজার ৫ শত সজিনা গাছ আছে। প্রতি বাড়ীতে কমপক্ষে ৩/৪ টি গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ীর পাশে ও ক্ষেতের আইলে লাগানো। যতœ ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। গাছে ফলনও বেশী হয়। প্রতি বছর সজিনার শাখা বা ডাল রোপন করা হয়েছে। রোপনকৃত ডালের প্রায় ৩০ শতাংশ মারা যায়।
দেশে ২টি জাত আছে, একটি হালো সজিনা ও আর একটি নজিনা। সজিনার ফুল আসে জানুয়ারীতে আর নজিনা ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় সর্বাধিক ১৫০টি মত ফুল ধরে। ফুল ৪০ সেঃ মিঃ থেকে ৮০ সেঃ মিঃ পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪’শ থেকে ৫’শ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০-৪০ টি বীজ হয়। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করে সজিনা গাছ লাগানো হয়। ভারত থেকে হাইব্রিড সজিনার জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজিনা গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস। গত বছর উপজেলায় ২১ হাজার সজিনার ডাল রোপন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭ হাজার ডাল জীবিত রয়েছে। সজিনার মৌসুম শেষে এ বছরও ডাল রোপন করা হবে। সজিনা চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজিনার ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে। বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজিনা গাছ যতœ ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষ গুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী। সজিনার ব্যাপক চাহিদা ও উচ্চ মুল্যে বিক্রি হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এখন পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে সজিনা গাছ লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে।
সজিনা বিশ্বের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বৃক্ষ। অলৌকিক গাছ হিসাবে সজিনা পরিচিত। ইংরেজিতে সজিনার নাম “ড্রামস্ট্রিক” যার অর্থ ঢোলের লাঠি। নামটি অদ্ভুত হলেও এটি এমটি অতিপ্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী উদ্ভিদ। এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টি গুন অনেক বেশী। এ গাছের অনেক গুন থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভত্তা করে ও বড়া ভেজে খাওয়া যায়। ফল সবজির মত রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়। সজিনার পাতা, ফল, ফুল, বীজ, ছাল, মুলের ভেজষ গুনও আছে। তাই সজিনা গাছের বিভিন্ন অংশ ভেজষ চিকিৎসায় কাজে লাগে। সজিনার পাতার পুষ্টিগুন বেশী, যেভাবে খাওয়া হোক না কেন তা শরীরে পুষ্টি যোগাবে, আর ঔষধীগুন তো আছেই। সজিনার পাতায় যে পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তা অনেক পুষ্টিকর খাবারেও নেই। যেমন, ডিমের চেয়ে বেশী আমিষ, দুধের চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, কমলার চেয়ে বেশী ভিটামিন সি, কলার চেয়ে বেশী ক্যালশিয়াম, গাজরের চেয়ে বেশী ভিটামিন এ আছে। তাছাড়া সজিনার পাতা গুড়ো করে খাওয়ায় অন্তত ১৬টি উপকারী কথা জানা গেছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, চোখ ও মস্তিস্কের পুষ্টি যোগায় প্রভৃতি। সজিনা সবজি যেমন উপদেয় এর ভেজষ গুনও অসাধারণ। মৌসুমী নানা রোগব্যাধী নিরাময় ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষ করে জন্ডিস, বসন্ত, মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা প্রাচীনকাল থেকে সজনে নানা ব্যবহার করে আসছে ইউনিয়ানী ও আয়ূর্বেদ চিকিৎসকরা।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঠান্ডা-গরম, লবণ, খরা সহিষ্ণু এ গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। এ উপজেলার লবণাক্ত মাটিতে সজিনা আবাদ ভাল হচ্ছে। উপজেলার প্রতি বাড়ীতে কমবেশি ৫/৬টি করে সজিনা গাছ আছে। এ বছর সজিনা গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। বড় ধরণের দূর্যোগ না হলে সজিনার বাম্পার ফলন আশা করা যায়। সজিনা পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনা ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD