January 3, 2025, 6:57 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
বেতাগীতে সরকারি প্রশিক্ষণে, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিবেশন

বেতাগীতে সরকারি প্রশিক্ষণে, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিবেশন

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি।

বরগুনার বেতাগীতে নির্মাণ কাজের মানউন্নয়নের লক্ষে ঠিকাদার, রাজমিস্ত্রী ও রডমিস্ত্রীদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। মেয়াদউত্তীর্ণ খাবার খেয়ে এ সময় একাধিক প্রশিক্ষণার্থী হঠাৎ পেটের পীড়ায় অসুস্থ হয়।

জানা যায়, উপজেলা পরিষদের আয়োজনে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাইকা’র সহায়তায় উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৩০ জন ঠিকাদার, রাজমিস্ত্রী ও রডমিস্ত্রীদের গত সোমবার তিনদিন ব্যাপি দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়।

প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে প্রশিক্ষণার্থীদের সকালে নাস্তায় কেক, সিঙ্গারা ও বড়ই দেয়া হয়। কিন্তু সরবরাহকৃত কেকের মেয়াদ ২ মাস আগেই উত্তীর্ণ ছিলো । প্রশিক্ষণার্থীরা বিষয়টি প্রথমে খেয়াল না করেই সেই কেক ফেলে। পরক্ষণে বিষয়টি কয়েকজন খেয়াল করলে তারা প্রশিক্ষণ বন্ধ রেখে হট্টগোল শুরু করে দেয়। এ সময় কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী পেটে পীড়া অনুভব করলে প্রশিক্ষণ কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে আসে।

প্রশিক্ষণার্থী মো: জহিরুল ইসলাম বলেন,‘প্রশিক্ষণে দেওয়া সকালের নাস্তার প্যাকেট হতে পৌছার কিছুক্ষণপর দেখতে পাই প্রদানকৃত কেকের মেয়াদ দুই মাস আগেই উর্ত্তীণ হয়েছে। আমনি কেক মুখে নেওয়া বন্ধ করে দেই।

প্রশিক্ষণার্থী মো. রাজিব খান অভিযোগ করেন, আমাদের প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে সকালের নাস্তায় যে কেক পরিবেশন করা হয়েছে তার মেয়াদ আরও দুই মাস আগেই উত্তীর্ণ হয়েছিলো। সরকারি কর্মসূচিতে এধরনের ঘটনা খুবই দু:খ ও লজ্জাজনক।

প্রশিক্ষণে খাবার বিতরণকারী উপজেলা পরিষদের কর্মচারি মো. আবুল কালাম বলেন, আগেই প্রশিক্ষনার্থীদের নাস্তার জন্য বেতাগী বন্দরের মাতৃ ভান্ডারের কেকের অর্ডার দেয়া হয়েছিলো। আমি শুধু কার্টুন ভর্তি ওই কেকগুলো নিয়ে আসি। তবে কার্টুনের উপরে মেয়াদ লেখা ছিলো না বিধায় বিষয়টি তখন আমার নজরে পড়েনি।

বেতাগী বন্দরের মাতৃ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী অরুণ কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, ঐ কার্টুনে মেয়াদ লেখা ছিলোনা। আমার কর্মচারীর ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। এজন্য আমি দায়বদ্ধ এবং ক্ষমাপ্রার্থী।

প্রশিক্ষণের সভাপতি ও বেতাগী উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, খাবার আনার আগে মেয়াদ যাচাই করা প্রয়োজন ছিলো। তবে এ ঘটনায় দোকানদার এবং আয়োজক উভয়ের গাফলতি রয়েছে।

মোঃ খাইরুল ইসলাম মুন্না
বেতাগী বরগুনা।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD