শখের ফটোগ্রাফি এখন পেশা-আবু মুসা আশয়ারীর

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
ছোট বেলাা থেকে স্বপ্ন ফটোগ্রাফি পাশাপাশি Human Robots নিয়ে কাজ করা
কিন্তু বাবা ফটোগ্রাফি পছন্দ করে না, তবুও চালিয়ে যাচ্ছে ফটোগ্রাফি ভালো ডিভাইস না থাকলেও থেমে নেই ছবি তোলা। তার একটি ছবি দেশের বাইরে আই, সি সি, কলকাতা নান্দানাল বস এন্ড জামিন গ্যালারিতে প্রদর্শনীতে।
অন্যদিকে সময় পেলেই ফুজি সাইবার শট ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতেন। জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বারইল গ্রামের, আবু মুসা আশয়ারী
বাবা মকবুল হোসেন, একজন ব্যবসায়ী, মাতা,গৃহিণী পারভীন বিবি। তিনি একজন ছাত্র, খুলনা ম্যানগ্রোভ ইন্সটিটিউট অফ সায়ন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজে ডিপ্লোমা, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করছেন। বাবা,মা’র দুই সন্তানের মধ্যে সে ছোট, বড়ো একটি বোন ৩০ পারা কোরআন হাফেজ।
ছবি তুলতে ভালোবাসতেন তিনি, সময়ের সাথে সাথে তার মন ফটোগ্রাফিতে আটকে যায়। আগে সখ, তারপর নেশা। এখন এটি একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। কিভাবে যে ঘটল? অদম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী ফটোগ্রাফার আবু মুসা আশয়ারী সেই গল্প শোনালেন।
ছবি তোলার এত অনুপ্রেরণা তিনি কোথায় পেলেন। আবু মুসা আশয়ারী বলেন, যারা আমার ছবি দেখে তারাই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। একবার একটা গ্রুপে ৪টা ছবি পোস্ট করেছিলাম, সেই ছবিগুলোতে আমার বন্ধু বান্ধব অনেক বড় ভাইয়েরা কমেন্টে ছবির প্রশংসা করেছিল। অনেক সিনিয়র এবং জুনিয়র ছবিগুলো পছন্দ করায় আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। বিশেষ করে বড় ভাই যারা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন তারা ক্যাম্পাসে এলে আমার সাথে যোগাযোগ করেন। এমন অনেক সুন্দর গল্প আছে যা আমাকে প্রতি মুহূর্তে ছবি তুলতে অনুপ্রাণিত করে।
তার ছবি এবং ফটোগ্রাফি নিয়ে অনেক স্বপ্ন রয়েছে তার। তিনি ভালোবেসে ছবি তোলেন, মূলত সবসময় ছবির মাধ্যমে পশু-পাখির সৌন্দর্য ধরার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, এখন আমি ছাত্র এবং বেকারও। বিভিন্ন সময়ে ছবি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়, ছবি বাছাই করা হয়, অর্থ বা সময়ের অভাবে অংশগ্রহণ করা হয় না। যে কোনো চাকরিতে যোগদানের পর সেদিকেই মনোযোগ দেব। তিনি স্বপ্ন দেখেন তার ছবিগুলো দেশের বড় বড় প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *