মশিউর রহমান।
শেখ মুয়িজ বিন আব্দুল্লাহ আল কাহ্তানি, সৌদি আরবের ঐতিহাসিক বৃহৎ শহর রিয়াদের বাসিন্দা। তিনি একজন ধর্মানুরাগী প্রচারবিমুখ ব্যক্তি। বাংলাদেশের অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমহিমায় উন্নীত তারই দানে।
ধার্মপরায়ন শেখ মুয়িজ এর সাথে প্রায় এক যুগ আগে ঢাকার তোরাগ তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায় পরিচয় হয় নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান বালিধারা দিনারপুর জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়ার তৎকালীন নাজিমে তালিমাত (শিক্ষা সচিব) মাওলানা মোতাহির আহমদ এর। তিনি হলেন সিলেট দরগা মসজিদের সুযোগ্য ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আসজাদ আহমদ এর ফুফাতো ভাই।
মাওলানা মোতাহির আহমদ বালিধারা দিনারপুর জামেয়ার উন্নয়নের রুপকার হিসাবে এলাকায় সুপরিচিত। সৌদি আরবের শেখ মুয়িজ বিন আব্দুল্লাহ কাহ্তানি বাংলাদেশ সফরকালে মাওলানা মোতাহির আহমদকে সঙ্গে করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ঘুরে বেড়ান এবং প্রদান করেন প্রয়োজনীয় সহায়তা।
বন্ধুত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ কাহ্তানি সমস্যা জর্জরিত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে এগিয়ে আসেন এবং মাওলানা মোতাহির আহমদ এর মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করে প্রসংশিত হচ্ছেন। বাহুবল উপজেলার আরেক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া হুসাইনিয়া মিরপুরের উন্নয়নেও রয়েছে তার অসামান্য অবদান। তিনি মায়ার বন্ধনে প্রতি বছর এ দেশ ভ্রমণ করেন আনন্দ ভাগাভাগির মাধ্যমে। গত ইজতিমার পর হতে এখনও তিনি বাংলাদেশ সফরে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
২৪ জানুয়ারি কাহ্তানিকে জামেয়া হুসাইনিয়ার পক্ষ হতে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করেন ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ। জামেয়া হুসাইনিয়া মিরপুরের বর্তমান মুতাতিমম মাওলানা মোতাহির আহমদ এর সাথে রয়েছে শেখ মুয়িজ বিন আব্দুল্লাহ আল কাহ্তানির সুগভীর হৃদ্যতা।
এ সুবাদে তিনি মিরপুর মাদ্রাসা সফর করেন। যেন তিনি এখানে পা না রাখলে তৃপ্তি পান না সফরে। কাহ্তানির মুসলিম ভ্রাতিত্বকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সবাই। মুসলিম ও দ্বীনি খেদমতের অন্যতম পুরোধা শেখ কাহ্তানির বন্ধুত্বের হাতছানি চলমান থাকুক অনন্তকাল।

Leave a Reply