রাতের আঁধারে শীতের উষ্ণতা নিয়ে হেফজখানায় ইউএনও

মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জি আর সারোয়ার,মাদ্রাসার মেঝেতে ঘুমানো হেফজখানার শিক্ষার্থীদের শীতের উষ্ণতা দিতে রাতের আঁধারে কম্বল পৌছে দিলেন। মধ্যরাতে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় কম্বল বিতরন করেন তিনি।

জানা গেছে, তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের অনাথ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সন্তানরা হেফজখানায় কোরআন মুখস্ত করছে।তীব্র এ শীতের ঠান্ডাও তারা টিনের বেড়ার মাদরাসার মাটির মেঝেতে ঘুমায়। ছিন্নমুল পরিবারের এসব শিশু সামান্য কাপড়ে শীত নিবারন করছে। মাদরাসার মেঝের মাটির উপর খড় ও একটি কাপড় বিছিয়ে রাত্রী যাপন করে এসব শিশু। মাটির ঠান্ডা আর টিনের বেড়ার ফুটা দিয়ে শীতের হিমেল হাওয়ায় রাতভর শরীর গরম হয় না।

এসব শীতার্ত শিশু শিক্ষার্থীদের শীতের উষ্ণতা পৌছে দিতে কম্বল নিয়ে ছুটে যান ইউএনও জিআর সারোয়ার। তিনি নিজ হাতে শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দিয়ে তাদের শিক্ষার খোঁজ খবর নেন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন, আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মফিজুল ইসলাম, মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ রোবেল মিয়া,মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ রোবেল মিয়া বলেন, মাঝ রাতে হঠাৎ মাদরাসা মাঠে গাড়ির হর্ণ বাজলে উঠে দেখি ইউএনও স্যার এসেছেন। পরে তিনি শিশু শিক্ষার্থীদের ঘুমানোর জায়গা দেখতে চাইলেন। তিনি শিশুদের ঘুমানোর অবস্থা দেখে গাড়ি থেকে কম্বল নিয়ে এসে সকল শিশুদের হাতে তুলে দেন শীতের উষ্ণতা। শিশুদের প্রতি স্যারের ভালবাসা দেখে আমি অবাক হয়েছি। স্বপ্নের মত মনে হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জিআর সারোয়ার বলেন, শুধু মাদরাসাতে নয়, হাটবাজার পথে ঘাটে থাকা ভবঘুরে ও ছিন্নমুল পরিবারের মানুষদের হাতে সারাসরি কম্বল তুলে দিতে প্রতিরাতে গাড়িতে কম্বল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এভাবে প্রতিরাতে শতাধিক কম্বল বিতরন করা হচ্ছে। শীতের কম্বল থাকার পরেও অনেকেই কম্বল দাবি করেন। তাই সরেজমিনে দেখে দেখে রাতের আঁধারে এভাবে পৌছে দেয়ার চেষ্টা করছি। এটা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

হাসমত উল্লাহ।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *