January 2, 2025, 7:47 pm
এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার থামড়া গ্রামের পশ্চিম পাশে আহসান হাবীব এর মালিকানাধীন গভীর নলকূপ শত্রুতামূলকভাবে চালু করে ওই নলকূপের স্কীমের প্রায় ১০ বিঘা জমির আলু ও সরিষা ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট করে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। গত শুক্রবার গভীর রাতে কে বা কাহারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কৃষকরা শ্যালো মেশিন ও অন্যান্যভাবে ফসল রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ ঘটনায় থামড়া মাঠের ওই গভীর নলকূপের স্কীমভূক্ত নাজিম উদ্দীন শেখ, শহীদ শেখ, ওয়াহেদ শেখ, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল বারিক, আব্দুল মতিন, শেফালি বেগম, আরাম আলী শেখসহ প্রায় ২০-২৫ জন কৃষকের আলু ও সরিষা ক্ষেত গভীর নলকূপের পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গভীর নলকূপ মালিক আহসান হাবীব বাবলু বলেন, ঘটনার দিন হাজিরা শ্রমিক নিয়ে আলু ক্ষেত সেচ দিতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নলকূপ ঘরে তালা লাগিয়ে নিজ বাড়িতে রাত্রী যাপন করেন। এমন সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা নলকূপ ঘরের দেয়ালের শুড়ঙ্গি দিয়ে বাশ ঢুকিয়ে মেইন সুইজ অন করে করলে গভীর নলকূপ চালু হয়। এতে ওই স্কীমের আলু ও সরিষা ক্ষেতসহ প্রায় ১০ বিঘা জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক নাজিম শেখ বলেন, আমার প্রায় ২৫ শতক সরিষা ক্ষেতসহ অনেকের আলু ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। ফলে ওই স্কীমে পানিতে ডুবে যাওয়া ১০ বিঘা জমিতে প্রায় ১ হাজার মন আলু উৎপাদন হতো। এতে আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্যে ৭ লাখ টাকর আলু ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুর রহমান বলে, পানিতে ডুবে ফসলের ক্ষতি করা দুঃখজনক ঘটনা। উপসহকারী কৃষি অফিসারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।