পঞ্চগড়ে শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের

মো বাবুল হোসেন পঞ্চগড়
পঞ্চগড় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সভাপতি ও জেলা আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কমিটি মিলিত হয়ে টাকার বিনিময়ে রাজাকার নাতনিকে নিয়োগ দিয়েছেন।এ বিষয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, পঞ্চগড় সদর, পঞ্চগড় এ মোঃশাহিন আলম গত ২৮ নভেম্বর মোকদ্দমা নং- ৩২৫/ ২০২২ অন্য দায়ের করেন। মামলায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সানজিদা খানম কে ১ নং,ও কলেজ সভাপতি আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে ২ নং এবং কলেজ প্রতিষ্ঠাত নমিনি সদস্য জসিয়ার রহমান প্রধান কে ৩নং ও পঞ্চগড় মকবুলার রহমান কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার প্রধানকে সহ আসামি করে কলেজ গর্ভনিং বডির সকল সদস্যসহ মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনায় প্রকাশ গত ৩ নভেম্বর ২০২২ শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজে ৪ জন ল্যাব সহকারী, ১ জন এমএলএস এস,১ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় নিয়োগ কমিটিতে প্রতিষ্ঠাতা নমিনি সদস্য একজন অবৈধ সদস্য। কারন বর্তমান জনবল কাঠামো অনুযায়ী প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু হলে পদটি বিলুপ্ত হবে। তথাপিও তিনি নিয়োগ বোর্ডে থেকে তার নিজ ভাগ্নি ও উকিল জামাই পরীক্ষায় প্রার্থী ছিল এবং তাদের ২জন কেই নিয়োগ দিয়েছে। অপর দিকে গভর্নিং বডির সদস্য জালাল উদ্দিনের পুত্র সুজন কে ল্যাব এসিসষ্টেন ও গেজেটেড রাজাকার আলতাফ পুত্র আইনুল হকের মেয়ে আশরাফি কে ল্যাব এসিষ্টেন্ট অপর দিকে এমএলএস পদে পরিতোষ শর্মা যার বয়স ৩৫ বছর উত্তীর্ন হলেও অবৈধ ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে রসায়ন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট পদে রাজু কে নিয়োগ দেওয়া হলেও তার বয়স ৩৫ উর্ধ্বে। যদিও সরকারী চাকরিতে করোনার কারনে ২ বছর বয়স শিথিল করা হলেও বেসরকারি চাকুরিতে এ নিয়মে কোন গেজেট প্রকাশিত আদোও হয়নি।
বিশ্বস্ত সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে পাওয়া যায় এ নিয়োগে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। মামলার বাদি দাবি তুলেন উক্ত নিয়োগ বাতিল করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। বিশ্বস্ত সুত্রে পাওয়া যায় কলেজটি ডিগ্রী কলেজ হওয়ায় অধ্যক্ষের রিটায়ার্ড হওয়ার কারণে উপাধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকার কথা। অথচ উপাধ্যক্ষকে কৌশলে অধ্যক্ষ নিয়োগের টোপ দিয়ে সহকারী অধ্যাপক সানজিদা খানমকে দিয়ে উক্ত ৬ টি পদের নিয়োগ বানিজ্য সাবার করে। উল্লেখ দুটি নিয়োগের পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি একি সাথে হলেও, অধ্যক্ষ নিয়োগে টালবাহানায় সময় ক্ষেপন করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। এ ব্যাপারে কলেজ কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন সব কিছু নিয়ম মতই হয়েছে । অন্য সুত্রে পাওয়া যায় নিয়োগ বিজ্ঞতি বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের দেওয়ার নিয়ম থাকলেও দলীয় ক্ষমতা বলে সভাপতি নিজ নামে পছন্দের পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন।যা মোটেও রিতী শুদ্ধ নয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *