May 3, 2024, 5:29 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
মাগুরায় এপেক্স ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত শামীম আহমেদ প্রেসিডেন্ট, মঞ্জুরুল ইসলাম সেক্রেটারি মুন্সীগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু শাজাহানপুরে টানা ৪র্থ বারের মতো শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক ( কারিগরী ) নির্বাচিত হলেন মোঃ আতিকুর রহমান সাংবাদিকের পিছে লাগা বাজুস দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরে বাজুসের মতবিনিময় সভা বড়াইগ্রামে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনা সভা উজিরপুরে ১০ বছরের ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু ৮ মে মাহবুবুর রহমান মধুর ঘোড়া মার্কা বিজয় নিশ্চিত বলে মনে করেন বরিশাল বাসি ভালুকায় ৬টি চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করে মালিককে হস্তান্তর করলেন ওসি রক্তের বাঁধন একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর পক্ষ থেকে তীব্র তাপমাত্রায় কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ঠান্ডা পানি ও টেস্টি সেলাইন বিতরন
ত্রিশালের মঠবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী

ত্রিশালের মঠবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী

ষ্টাফ রিপোর্টার : রাজনৈতিক, সামাজিক ও নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কদ্দুস মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাতার অর্থ আত্মসাৎ ও সম্প্রতি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণ কাজে বাধা ও ভাংচুরের অভিযোগ এনে হয়রানি মোলক মামলা দায়ের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউপি সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষও একাত্মতা প্রকাশ করে অপপ্রচারের জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেন, সম্প্রতি প্রতিবন্ধী ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতার টাকা আত্মসাৎ করার বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে একটি মহল নানা অপপ্রচার চালিয়ে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডলের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। ভাতার টাকা চেয়ারম্যানের পকেটে এবিষয়টা একটা ভূয়া ও ভিত্তিহীয় অভিযোগ, কারণ দেশ এখন ডিজিটাল, ভাতার টাকা সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের মোবাইলে দিয়ে থাকে, যে সেব নাম্বারে টাকা আসে সেই নাম্বার গুলো চেক করলেই বেরিয়ে আসবে টাকা কোথায় যায়, এ ঘটনায় সামাজিকভাবে চেয়ারম্যান-মেম্বাদের
হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। অপরদিকে ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে, অথচ চেয়ারম্যান অবগত না,তাকে অবগত করা হয়নি কেন? কি উদ্দেশ্যে? কাজের ব্যাপারে চেয়ারম্যান কে অবগত করা হয়নি এবিষয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। আর কাজ চলছে, কাজ কিভাবে হচ্ছে, ইউনিয়নের কাজের মানের সচ্ছতা যাচাই ও সিডিউল মোতাবেক করা হচ্ছে কিনা এটা স্থানীয় সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে তার দায়িত্ব আছে,সেই দায়িত্ব থেকে তিনি আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজের মান যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে দেখেন কাজ হচ্ছে নিম্নমানের, ইউনিয়নের জনগণের স্বার্থেই চেয়ারম্যান প্রতিবাদ করেছে, এটা কোন অন্যায় হতে পারেনা বলেও মনে করছেন স্থানীয় গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা। অথচ এই বিষয়েও চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ৪জনের নামে মামলা করা হয়েছে, ইউনিয়নের একজন সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার তিনিও এই নাটকীয় মামলা থেকে রেহায় পাননি এই নিয়েও চলছে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা। মামলায় লেখা হয়েছে অনধিকার প্রবেশ করে নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে,অনেকে বলছেন ইউনিয়নের সরকারি কাজের মান যাচাই-বাছাই করার লক্ষে যদি চেয়ারম্যান মেম্বার পরিদর্শন করতে গেলে অনধিকার প্রবেশ হয়, তাহলে সেখানে প্রবেশে কাদের অধিকার রয়েছে? মামলায় লেখা হয়েছে চেয়ারম্যান বলেছে সিমেন্ট কোথায় নিয়ে যাস! তাহলে এথেকে বুঝা যায় প্রকল্পের কাজের সাথে জড়িত কেহ সিমেন্টের বস্তা চুরি করে সরানোর চেষ্টা করছিলেন যা দেখে চেয়ারম্যান হয়তো প্রশ্নটা করেছে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে কোথায় যাস,তাহলে সিমেন্ট চুরি,কাজের অনিয়ম,নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহারের প্রতিবাদ করা যদি চেয়ারম্যানের অন্যায় হয় আর সে কারণে যদি চেয়ারম্যানের নামে মামলা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ অন্যায়, অনিয়মের প্রতিবাদ করার সাহস করবে কিভাবে? আলোচনা চলছে যদি এভাবে চলে তাহলে মানুষ প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলবে, সরকারের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যদি অনিয়ম করে তার প্রতিবাদ করলে যদি ষড়যন্ত্র আর হয়রানি মোলক মামলার আসামী হতে হয় তাহলে এদেশ থেকে প্রতিবাদ নামক শব্দ টা উঠে যাবে বলেও মন্তব্য চলছে বিভিন্ন মহলে।এজন্য সচেতন মহল প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তারা উক্ত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।

চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল একজন জনবান্ধব ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, মঠবাড়ীর ইতিহাসে কেহ পরপর দুবার নির্বাচিত হতে পারেনি,তিনি এর আগে গত ২০১৬সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিল,পরে গত ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিলো,তবে সাধারণ মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেও বিপুল ভোটে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়েছেন। এমন একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে এসব ষড়যন্ত্রের ঘটনায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার সাথে কাজ করছেন চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল।

গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এটা উক্ত ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে তাদের দাবী।তারা আরো বলেন, এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা।

স্থানীয় গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা বলেন, একটি কুচক্রীমহল ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেছে। তারা চেয়ারম্যানকে হয়রানি করতে একের পর এক ভুয়া ভিত্তিহীন ও কল্পকাহিনী রটাচ্ছে।

চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমি প্রথমবার নৌকা প্রতীক নিয়ে ও দ্বিতীয়বার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর থেকে এলাকার একটি চিহ্নিত অপরাধী ও কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে ইউনিয়নের ৪থেকে ৫ হাজার দরিদ্র, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের প্রাথমিক তালিকা করে সরকারী সহায়তার পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়ে হয়েছে। সরকারের বরাদ্দকৃত সকল ভাতা দলমত নির্বিশেষে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে যারা প্রাপ্য তাদের মাঝে বিতরণের লক্ষে তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রকৃত ভূক্তভোগীর নাম ও মোবাইল নাম্বার তালিকায় দেওয়া হয়। যার কাছে মোবাইল তার কাছে বরাদ্দের টাকা যাচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে। তারপরও কারা এসব ষড়যন্ত্র করছেন আর কারা শেল্টার দিচ্ছেন সেটি সবার জানা। সময় মতো তাদের মুঁখোশ উন্মোচন হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ সকল বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। এ সকল বিষয়ে তারাও অবগত আছেন। তিনি কর্মী-সমর্থক ও ইউনিয়নবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এসব বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য্য ধরুন, ষড়যন্ত্র করে কারো জনপ্রিয়তা নষ্ট করা যায় না।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD