সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানে- সুমন খানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার:

মানবাধিকার লঙ্ঘন, প্রশাসনিক অনিয়ম ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ সাংবাদিক সুমন খান-কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। সত্য অনুসন্ধানে আপসহীন অবস্থান ও জনস্বার্থে সাহসী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ এন্ড প্রেস সোসাইটি ও দৈনিক ঢাকার ক্রাইম-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত “মানবাধিকার রক্ষা ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬” শীর্ষক আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা স্মারক২০২৫অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।শনিবার (২৭ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেল ৪টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,
“যখন মূলধারার অনেকেই নীরব, তখন কিছু সাংবাদিক ঝুঁকি নিয়ে সত্য তুলে ধরছেন—সুমন খান তাদেরই একজন।”
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত
সাংবাদিক সুমন খান দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সরকারি দপ্তরের অনিয়ম, দালালচক্র, রাজনৈতিক সহিংসতা ও সাধারণ মানুষের বঞ্চনার চিত্র অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে জনসম্মুখে তুলে ধরেছেন। তার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও বিচারহীনতার বাস্তব চিত্র—যা সংশ্লিষ্ট মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ ধরনের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কেবল সংবাদ পরিবেশন নয়, বরং রাষ্ট্র ও সমাজকে জবাবদিহির আওতায় আনার একটি কার্যকর হাতিয়ার।বক্তাদের মন্তব্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানবাধিকারকর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা বলেন,সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকার রক্ষায় সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভয় ও নীরবতা। সাংবাদিক সুমন খান সেই ভয় উপেক্ষা করে সত্য প্রকাশে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।তারা আরও বলেন,অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সম্মাননা প্রাপ্ত সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ধারাবাহিকতা রক্ষার আহ্বান জানান।স্পষ্ট বার্তাএই সম্মাননা শুধু একজন সাংবাদিকের স্বীকৃতি নয় এটি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো সাংবাদিকতার প্রতি রাষ্ট্র ও সমাজের প্রত্যাশার প্রতিফলন। বক্তারা সতর্ক করে বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা দমনে কোনো অপচেষ্টা চললে তা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, কেন্দ্রীয় কমিটি।উদ্বোধক ও প্রধান আলোচক
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মোঃ জুয়েল হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লিগ্যাল পাইলিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ,নাদিম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রার্থী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল, কেন্দ্রীয় কমিটি।সভাপতির বক্তব্য অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মোঃ আনোয়ার হাসান আকাশ, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ এন্ডপ্রেস সোসাইটি ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *