শুভ বড়দিন উপলক্ষে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের  সঙ্গে বিজিবি বান্দরবান সেক্টর কমান্ডারের শুভেচ্ছা বিনিময়

বান্দরবান থানচি প্রতিনিধি : মথি ত্রিপুরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বহু জাতি-গোষ্ঠী ও বহু ধর্মের মানুষের আবাসভূমি। এই অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, বলিপাড়া জোন (৩৮ বিজিবি)-এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত শান্তিরাজ মিশন, থানচি-তে শুভ বড়দিন–২০২৫ উপলক্ষ্যে এক আনন্দঘন ও সৌহার্দ্যপূর্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিজিবি বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মুহাম্মদ রুবায়াত জামিল, বিএসপি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। তিনি বড়দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, যিশু খ্রিস্টের শিক্ষা মানবপ্রেম, ত্যাগ ও শান্তির প্রতীক, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সামাজিক ঐক্য এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানে সেক্টর কমান্ডার মহোদয় শান্তিরাজ মিশন চার্চসহ পার্শ্ববর্তী চার্চসমূহের জন্য শুভেচ্ছা উপহার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এতে স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে আনন্দ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি বলিপাড়া জোন (৩৮ বিজিবি) কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অন্যান্য খ্রিস্টান উপাসনালয়সমূহেও শুভ বড়দিন উপলক্ষ্যে আর্থিক সহায়তা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিজিবির নিয়মিত মানবিক সহায়তা ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সেক্টর কমান্ডার বান্দরবান তাঁর বক্তব্যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং বলেন, বিজিবি ভবিষ্যতেও পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, নিরাপত্তা ও সম্প্রীতি রক্ষায় মানবিক ও পেশাদার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বলিপাড়া জোন (৩৮ বিজিবি)-এর জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ ইয়াসির আরাফাত হোসেন, বিপিএমএস (পদাতিক), জোনের অন্যান্য অফিসারবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ। সার্বিকভাবে, এই শুভেচ্ছা বিনিময় ও সহায়তা কার্যক্রম পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সামাজিক ঐক্য ও পারস্পরিক বিশ্বাস সুদৃঢ় করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *