হারুন অর রশিদ দোয়ারাবাজার থেকেঃ
সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্নে বিভোর একজন তরুণ সমাজকর্মী ও সংগঠক সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের রাজনপুর গ্রামের ক্লিন ভিলেজ গ্রীণ ভিলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কানাডা প্রবাসী রোটারিয়ান মো. ইকবাল হোসেন। তিনি ইতিমধ্যে তার মরহুম বাবার নামে “আবুল হোসেন ফাউন্ডেশন” গঠন করেছেন যা মুলত শিক্ষা, স্বাস্থ্য,সমাজ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবে।
গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও একটি আদর্শ গ্রাম গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি ও নৈতিকতা—এই পাঁচটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে তিনি গড়ে তুলতে চান একটি টেকসই ও মানবিক সমাজ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর ) সরেজমিনে রাজনপুর গ্রামে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় কানাডা প্রবাসী রোটারিয়ান ইকবাল হোসেন এর নিজস্ব অর্থায়ন ও পরিকল্পনায় রাজনপুর আদর্শ গ্রামের কাজ শেষের পথে।
আদর্শ গ্রামে যা নির্মান করা হয়েছে, গ্রামের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে প্রতিটা বাড়ির ঘরের সৌন্দর্য বর্ধন। পরিষ্কার পরিছন্ন রাস্তাঘাট, নবীন প্রবীণদের বসার স্থান। যাত্রী ছাউনি, বাথরুম, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওয়াশরুম। প্রতি বাড়ীর সামনে ডাস্টবিন। শিশুদের খেলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা।
কর্মসংস্থানের লক্ষে সেলাই প্রশিক্ষণ, ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করা। ফ্রি কোচিং এর ব্যবস্থা করা। গরীব অসহায়দের ঘর নির্মাণ,সাকো, কালভার্ট,নৌকা ইত্যাদির ব্যবস্থা, খাদ্য সহায়তা করার ব্যবস্থা, লাইব্রেরী ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, গ্রামকে শতভাগ শিক্ষিত করা।
ইকবাল হোসেনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা একটি প্রত্যন্ত গ্রামে হলেও, তার চিন্তা ও কর্মে ফুটে উঠেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তিনি সুদূর কানাডায় বসেও নিজের গ্রামকে আদর্শ গ্রামে রূপ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে তিনি তার ছোট ভাই মো. সাখাওয়াত হোসেন এর সার্বিক সহযোগিতায় রাজনপুর আদর্শ গ্রামের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ করেছেন।
রাজনপুর গ্রামের হবিবুর রহমান বলেন, ইকবাল হোসেন আমাকে বসবাসের জন্য একটি ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। আমার মতো বহু মানুষকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিছে। আমি তার সুন্দর জীবন কামনা করি।
সাংবাদিক আলাউদ্দিন বলেন, কানাডা প্রবাসী রোটারিয়ান ইকবাল হোসেন একজন পরোপকারী মানুষ। করোনা, বন্যায় হাজার হাজার মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা ও ঘরবাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন।
আদর্শ গ্রাম নিয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, “আমি চাই এমন একটি গ্রাম গড়ে তুলতে, যেখানে মানুষ হবে স্বাবলম্বী, শিক্ষিত ও নৈতিকতাসম্পন্ন। শুধু আমার বাড়ী বাগান বাড়ি নয়, আমার পুরো গ্রামই হবে আলোকিত। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই আমার মূল লক্ষ্য।”
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ বলেন, আসা যাওয়ার সময় দেখা রাজনপুর একটি দৃষ্টিনন্দন গ্রাম।
স্থানীয়দের ধারনা ইকবাল হোসেনের স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া। একদিন রাজনপুর নয়, এই আদর্শ গ্রামের মধ্য দিয়ে সারা উপজেলার দৃষ্টি পরিবর্তন হবে।

Leave a Reply