নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মৎস্য ঘের গিলে খাচ্ছে সড়ক, এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উক্ত প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কুশলা ইউনিয়নের বানিয়ারী হইতে কলাবাড়ী পর্যন্ত নির্মানাধীন সড়ক সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় এই চিত্র। যানা যায়, মস্যজিবী ও কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষে ২০২১-২২ অর্থ বছরে কুশলা-কলাবাড়ী ১১ কিলোমিটার সড়কের মাটি ভরাট করে ইটের সোলিং প্লাসেটিং ঘানি ব্যাগ গার্ডার ব্রীজ সহ কাজের টেন্ডার আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। উক্ত কাজ প্রায় ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে যৌথ ভাবে সম্পাদন করার দায়িত্ব পায় মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ এবং লুৎফুল কবির জেবি বরিশাল নামক দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সিডিউল অনুযায়ী উক্ত প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালে সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের কথা থাকলেও এ পর্যন্ত তা পারছেন না ঠিকাদার। সড়কের পাশে অসংখ্য মৎস্য ঘের থাকার কারনে বর্ষাকালে পানির ঢেউ এবং বিপুল পরিমান মাছ প্রতিনিয়তই ধ্বংশ করছে সড়কটি। বছরের পর বছর কাজের মান ধরে রাখতে রিতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। হালিম মোল্লা, ইউনুস সাখাওয়াতী, শাজাহান শেখ, কুদ্দুস শেখ, শিবু মিত্র সহ একাধিক এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান- বিলের এই সড়কটি কৃষি পন্য, মাছ ও পশু খাদ্য আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, মৎস্য ঘেরের কারনে যাহা বারবার নষ্ট হচ্ছে, সকলের উচিৎ নিজ দায়িত্বে প্রটেকশন দিয়ে ঘেরে মাছ চাষ করা। সরকারী নিয়ম নিতীর তোয়াক্কা না করা বহু সংখ্যক ছোট বড় ঘের মালিক চঞ্চল শেখ বলেন- পানির ঢেউ এবং মাছের খোচা খুচির কারনে ঘেরের পাশের সড়ক ভেঙ্গে যায়। সামচুল হক শেখ (সামচু মহাজন) জানান- আগে ঘেরে আমরা মাছ চাষ করতাম, কয়েক বছর যাবৎ ঘেরগুলি চঞ্চল ভাড়া নিয়েছে, তাকে বারবার প্রটেকশন দেওয়ার কথা বললেও সে দিচ্ছে না। ঠিকাদার প্রতিনিধি উৎসব বৈদ্য ও আল আমিন শেখ বলেন- মৎস্য ব্যবসায়ীরা নিজ অর্থায়নে সড়কের পাশে পর্যাপ্ত প্রটেকশন না দিলে সড়ক ঠিক রাখা সম্ভব না, বারবার সংস্কার করায় বিপুল পরিমান সরকারী অর্থের অপচয় হচ্ছে। এ ব্যপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী সফিউল আজম জানান- আমরা মৎস্য ঘের মালিকদের চিঠি দিয়েছি, সড়কের পাশে কমপক্ষে দশ ফিট করে প্রটেকশন দিয়ে ঘেরে মাছ চাষ করার জন্য, কিন্ত মৎস্য চাষীরা নিয়ম মানছে না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক বলেন- সরকারী বিধি মোতাবেক ঘেরে মাছ চাষ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply