ময়মনসিংহ-৯ আসনে স্ব-তন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রফেসর ড এ আর খানের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত ভোটাররা

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
আগামী দিনে নান্দাইল উপজেলাকে সমৃদ্ধ ও পর্যটন এলাকা হিসাবে উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে নিজেকে ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিধ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড এ আর খান।

সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইবুক স্ট্যাটাসে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি। প্রফেসর ড এ আর খান উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের আচারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তার প্রার্থীতা ঘোষণায় নান্দাইলের সর্বস্তরের জনতার মাঝে উচ্ছ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

ফেইসবুক স্টাটাসে তিনি নান্দাইলবসসীর উদ্দেশ্যে বলেন-তিনি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, সংসদীয় আসন – ১৫৪, ময়মনসিংহ – ৯, নান্দাইল উপজেলা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি আগামী ২২শে ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার, সারাদিন নান্দাইলে অবস্থান করে নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিক ভাইদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

এব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর ড এ আর খান
বলেন, নান্দাইল থানার দীর্ঘ একশ তের বছরের ইতিহাসে তেমন কোনো আধুনিক উন্নয়ন হয়নি।
এলাকার মানুষের এই বঞ্চনার অবসান ঘটাতে প্রফেসর এ আর খান পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সুযোগ পেলে নান্দাইলকে একটি মডেল উন্নয়ন এলাকার রূপ দেবেন।

তিনি আরও বলেন- এলাকার রাজনৈতিক শূন্যতা এবং সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।

নির্বাচিত হলে ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে সুশাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জানান, মাদক নির্মূল, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবেন।

নিজের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান ও সক্ষমতার বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমার পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান ভালো। মানুষের হক নষ্ট করার কোনো মানসিকতা আমার বা আমার পরিবারের কারো নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না।’

পারিবারিকভাবে সামাজিকতায় ভূমিকার কারণে তিনি ইতোমধ্যে নিজ এলাকা ও নান্দাইলের রাজনৈতিক মহলে ইতিবাচক পরিচিতি পেয়েছেন।

ছাত্রজীবন থেকে মানুষের পাশে থাকা এই সমাজ সেবক কর্মজীবনেও আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে সর্বদা সরব রেখেছেন মানব কল্যাণে। তিনি সর্বদায় সবসময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন, যদিও ব্যক্তিগতভাবে তা নিয়ে ঢোল পেটাতে পছন্দ করেন না।

পেশায় একজন রাজনৈতিক গবেষক হওয়ায় তার গবেষণার অভিজ্ঞতা তাকে সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে, যা তাকে একজন প্রার্থী হিসেবে আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে।

ড.এ আর খান শুধু একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক নন, তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয়। স্থানীয়রা মনে করেন, এমন শিক্ষিত তরুণ ও জনবান্ধব নেতৃত্ব তাদের এলাকার জন্য অপরিহার্য। যদিও ময়মনসিংহ-৯ আসনে বিএনপি দলের একজন তরুণ নেতার মনোনয়নে সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে, স্থানীয় জনগণ প্রফেসর ড এ আর খান কে একজন ভালো মানুষ ও নেতা হিসেবে চেনেন।স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। ঢাকা ও নিজ এলাকার ভোটারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে তিনি তাদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমি মানুষের সেবায় বিশ্বাস করি। যদি ভোটাররা আমাকে সুযোগ দেন, আমি অবহেলিত নান্দাইল উপজেলাকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলার মাধ্যমে দৃশ্যমান ও পর্যটনী এলাকা হিসাবে উপহার দিবো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *