নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জে নগদ ১০ লক্ষ টাকা ও প্রাইভেট কার সহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে কর্মরত এক কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সাথে নগদ ১০ লক্ষ টাকা ও প্রাইভেট কারটিও জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক ৪ টার সময় গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মোড়ে নিয়মিত চেকপোস্ট কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কালো রঙের উক্ত প্রাইভেট কার যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো (গ ৩৭-৬৮৪১) তল্লাশি করে প্রাইভেট কারের ভেতর একটি ব্যাগের মধ্যে দুইটি খামে মোট ১০ লাখ টাকা দেখতে পান।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ কালে প্রাইভেট কারের যাত্রী জনৈক মোশারফ হোসেন (৬০) যিনি নিজেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর শরীয়তপুর জেলায় পিয়ন পদে কর্মরত রয়েছেন বলে জানান। এ সময় টাকার বৈধ উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মোশারফ বলেন, টাকাগুলো তিনি গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেনকে দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছেন। পরে পুলিশ তাকে এবং প্রাইভেট কারের চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যান সেই সাথে নগদ টাকা সহ প্রাইভেট কারটিও জব্দ করেন। আটককৃত মোশারফ হোসেনের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর খসরু এলাকায়। সে মৃত কালু মোল্যার ছেলে। ধৃত অপর ব্যক্তি প্রাইভেট কার চালক মোঃ মনির হোসেন। সে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সোহরাব বেপারীর ছেলে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ।
তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো ঘুষের টাকা হতে পারে। এতগুলো টাকা সহ সওজ এর একজন কর্মচারী পুলিশের নিকট আটক হওয়া এবং গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নাম উঠায় বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহলে বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। এ টাকা গুলোর বৈধ উৎস কি? কাকে দেওয়ার জন্য এতোগুলো টাকা শরীয়তপুর থেকে গোপালগঞ্জে আনা হলো? ওই পিয়নের একার পক্ষে এত বড় ঝুঁকি নেওয়া কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়? এর সাথে সওজ এর কারা কারা জড়িত? তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন দুর্নীতি বিরোধী সাধারণ জনগণ ও সচেতন মহল।

Leave a Reply