বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বরগুনার বেতাগীতে রং-তুলিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেছে খুদে শিল্পীরা। শীতের আমেজে গরম পোশাকে সজ্জিত শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বেতাগী সরকারি পাইলট বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রমধর্মী চিত্রাঙ্কন কর্মসূচি ‘রং-তুলিতে বিজয় উল্লাস’।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় যুব সংগঠন গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি বিনামূল্যে তিন শতাধিক শিশু-কিশোরকে জাতীয় পতাকা অঙ্কনের সুযোগ করে দেয়। শিশুদের হাতের ছোঁয়ায় লাল-সবুজের রঙে তৈরি দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্মে পুরো মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ, যা উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বিজয় দিবসের আয়োজনকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত।
এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় খুদে শিল্পী মো. আরিফুর ইসলাম মান্না, ইসমাত মেহেজাবীন বিন্তি, সিয়াম বিশ্বাস, তৌহিদ হোসেন খান, বুশরা বিশ্বাস, অনন্যা জামান, অধরা, অঙ্কিতা, পূর্বা, গোলাম মর্তুজা ইমন, তামিম, ইশরাত জাহান, রাফা ও কাইউমসহ আরও অনেক শিশু-কিশোর।
অনুষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি), বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন খানসহ মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অংশগ্রহণকারী খুদে শিল্পী ইসমাত মেহেজাবীন বিন্তি বলেন, “সৃজনশীল কাজে অংশ নিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমাদের মতো শিশু-কিশোরদের অনুপ্রেরণা জোগাতেই এ আয়োজন।”
সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) বেতাগী উপজেলা সভাপতি আরিফ ইসলাম মান্না বলেন, “বেতাগীতে পঞ্চমবারের মতো এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এ বছরও তিন শতাধিক শিশু-কিশোরকে জাতীয় পতাকা অঙ্কনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।”
গ্রিন পিস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি মো. সোহেল মীর বলেন, “প্রতিবছর শিশুদের মধ্যে বিজয়ের চেতনা ছড়িয়ে দিতে আমরা এই আয়োজন করে থাকি। ছোটবেলা থেকেই যেন তারা বিজয় দিবসের তাৎপর্য উপলব্ধি ও লালন করতে পারে এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বেতাগী উপজেলা সভাপতি দীপক কুমার গুহ বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিশু-কিশোরেরা চিত্রকলার চর্চায় যুক্ত হচ্ছে এবং জাতীয় পতাকার নান্দনিক রূপ ফুটিয়ে তুলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।”
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, “এ ধরনের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড তরুণ প্রজন্মকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে।”

Leave a Reply