আনোয়ার হোসেন।।
নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //
পিরোজপুর-২ ভান্ডারিয়া,কাউখালি, নেছারাবাদ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন আলহাজ্ব আহম্মদ সোহেল মনজুর সুমন। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দলের ঐ আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, অন্যদিকে মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে দেখা গেছে চাপাক্ষোভ। নেছারাবাদ উপজেলার দীর্ঘ ৪৫বছরের রাজনীতির মাঠে থাকা ত্যাগি নেতা ফকরুলের সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
৬ নবেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় দুপুরে ফখরুল আলমের সমর্থকরা বালিহারীর গুচ্ছগ্রাম, সুটিয়াকাঠি এবং মাহামুদকাঠি এলাকা থেকে শতাধিক নারী-পুরুষকে স্বরূপকাঠির ফেরিঘাট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে তার স্বরূপকাঠি থেকে এমপি প্রার্থী চান স্লোগান দিতে থাকের আবার কেউ কেউ তাঁরা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ফখরুল আলমকেই দেখতে চান বলে শ্লোগান দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বালিহারী এলাকা থেকে সংগঠিত কিছু নারীকে টাকা-পয়সার বিনিময়ে মিছিলে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সাধারণ বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে— দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সকলকে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে দলীয় সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিক্ষোভ মূলত দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী না এটি ভবিষ্যতে সংগঠনের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে। তবে পিরোজপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা বলছে নেছারাবাদ উপজেলায় শীগ্রই কমিটি দেয়া হবে। কমিটি দেয়া হলে এই বিভাজন আর থাকবেনা।
দলীয় নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, খুব শিগগিরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনা মেনে সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব আহম্মদ সোহেল মনজুর সুমনের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন।

Leave a Reply