আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রবীণ বিএনপি নেতা মমিমনুল হক মমিন বলেছেন, ফ্যাসিস্ট ও পতিত আওয়ামী সরকার ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে চিরতরে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপি শত বাধা উপেক্ষা করেও প্রতি বছর দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে আসছে।
জানা গেছে,৭ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় তানোর পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রশিদের সঞ্চালনায় উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মমিনুল হক মমিন এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সূচনা করে। সেই দিন থেকেই দেশে বহুদলীয গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল ও দেশকে পিছিয়ে নিতে কাজ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপি নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল।তিনি বলেন,আগামি নির্বাচন আমাদের জন্য অগ্নি পরীক্ষা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে আমাদের মাঝে ঐক্যের বিকল্প নাই।তিনি বলেন, আমাদের পরম সৌভাগ্য আমরা মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের মতো এত বড় মাপের নেতৃত্ব পেয়েছি,আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে।
এদিন আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আহসান সরকার নান্নু, আব্দুল লতিব, হাশেম আলী মেম্বার,আবুল কালাম আজাদ,আনারুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাশেম আলী ও সোহেল রানাপ্রমুখ।এছাড়াও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply