হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অবনী কুমার দাশ ও তার ছোট ভাই বিনয় কুমার দাশ-এর বিরুদ্ধে জমি-বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর মৌজার ৬০ শতক বোরো জমি বিক্রির নামে একাধিকবার টাকা নেওয়ার পরও রেজিস্ট্রি না করে দিয়ে ঘুরিয়ে সময় ক্ষেপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের অফিস সহকারী নিশিকান্ত দাশ।
অভিযোগে জানা যায়, প্রেসক্লাবের অফিস সহকারী নিশিকান্ত দাশ ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর তারিখে অবনী কুমার দাশ ও বিনয় কুমার দাশের কাছ থেকে ৬০ শতক বোরো জমি ক্রয় করেন। জমিটির অবস্থান হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আব্দুল্লাহপুর মৌজার জে.এল. নং ৪১, ডি.পি. ২৬৮, এস.এ. দাগ ৭২২ ও ৯২৫, আর.এস. দাগ ৭৩০ ও ৯৩৯ নম্বরে।
ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬ লাখ টাকা, যার মধ্যে প্রথমে ৪ লাখ টাকা পরিশোধের পর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে দখল হস্তান্তর করা হয়। পরে অনুরোধ করে ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার নামে ২৪-১২-২৪ ইং তারিখে আরও ১ লাখ টাকা একইভাবে নেন।
চুক্তি অনুযায়ী রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করে বাকি ১ লাখ টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও, আজ অবধি তারা রেজিস্ট্রি করে দেননি।
গত দুই বছর ধরে ক্রেতা নিশিকান্ত দাশ বারবার রেজিস্ট্রি সম্পন্নের অনুরোধ জানালেও, অবনী ও বিনয় দাশ বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করছেন। স্থানীয়ভাবে মুরুব্বিদের মাধ্যমে সালিশের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতেও কোনো সমাধান হয়নি। বরং অভিযোগ রয়েছে, পৌরসভার কর্মকর্তা অবনী দাশ নিজের প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
নিশিকান্ত দাশ আরও জানান , “অবনী দাশ এখন বলছেন, ৬০ শতকের জায়গার মধ্যে ৫০ শতক দেবেন, বাকি ১০ শতক দেবেন না। তিনি পৌরসভার চাকরির প্রভাব দেখিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন নিশিকান্ত দাশ।
এ বিষয়ে অবনীর ছোট ভাই বিনয় কুমার দাশ বলেন, “সব কিছু আমার ভাই অবনী দাশ জানেন।”
অন্যদিকে অবনী দাশের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ পৌরসভায় চাকরির সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে একাধিকবার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সচেতন মহলের প্রশ্ন, একজন পৌর কর্মকর্তা সরকারি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
ভুক্তভোগী নিশিকান্ত দাশ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও প্রতারণার বিচার দাবি করেছেন
সৈয়দ মশিউর রহমান
হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।

Leave a Reply