এম এ আলিম রিপন ,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ একটি ড্রেজার ও একটি বাল্ক হেড জব্দ করা হয়েছে। জেলা এন এস আই এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে শনিবার বিকেলে সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ এলাকার পদ্মা নদীর অভিযান চালিয়ে তঁাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তঁাদের সাজা দেওয়া হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোঃ রাকিবুল কাজী, পিতা- রফিক কাজী, ঠিকানা- কশবা, কুমারখালী, কুষ্টিয়া, জেল- ১৫ দিন। মোঃ রিপন আলী, পিতা- আমিরুল ইসলাম, ঠিকানা- কেশবপুর, বাঘা, রাজশাহী, জেল- ১৫ দিন। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পিতা- মৃত জয়নাল আবেদীন কাজী, ঠিকানা- গলাচিপা, পটুয়াখালী, জেল- ২০ দিন। মোঃ উজ্বল খঁান, পিতা- মোঃ আমজাদ খঁান, ঠিকানা- বোরখাপুর, নাজিরগঞ্জ, সুজানগর, পাবনা, জেল- ২০ দিন।মোঃ সুমন, পিতা- মোঃ নিজাম উদ্দিন, ঠিকানা- পাংশা, রাজবাড়ি, জেল- ২০ দিন। মোঃ বাবুল মাঝি, পিতা- অবুজ সর্দার, ঠিকানা- কসবা, কুমারখালি, কুষ্টিয়া, জেল- ১৫ দিন।মোঃ আব্দুল মান্নান খঁান, পিতা- মৃত আজিম উদ্দিন, ঠিকানা- চরপাড়া, পাংশা, রাজবাড়ী, জেল- ২০ দিন। মোঃ রাসেল, পিতা- মৃত আশেক আব্দুর রব, ঠিকানা- কসবা কুমারখালী, কুষ্টিয়া, জেল- ১৫ দিন। মোঃ মমিন মন্ডল, পিতা- মোঃ ইসরাঈল মন্ডল, ঠিকানা- আরামবাড়িয়া, খোকসা, কুষ্টিয়া, জেল- ৩০ দিন। মোঃ রাসেল মন্ডল, পিতা- মোঃ আতাই মন্ডল, ঠিকানা- চরপাড়া, পাংশা, রাজবাড়ী, জেল- ১৫ দিন। মোঃ বদিউর রহমান, পিতা- মৃত সহিদুর রহমান, ঠিকানা- পাংশা, রাজবাড়ী, জেল- ২০ দিন,মোঃ আব্দুল খালেক, পিতা- মৃত জয়নাল মৃধা, ঠিকানা- দুমকি, পটুয়াখালী, জেল- ২০ দিন। মোঃ ইয়াছিন, পিতা- মৃত সুজা মিয়া, ঠিকানা- সুধারামপুর, নোয়াখালী, জেল- ১৫ দিন,মোঃ শাহিন রহমান, পিতা- মৃত আজিবুর রহমান, ভবানীপুর, রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ী, জেল- ২০ দিন। মোঃ রাকিব হাওলাদার, পিতা- মোঃ হাবিবুর রহমান, ঠিকানা- মোড়লগঞ্জ, বাগেরহাট, জেল- ১৫ দিন ও মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, পিতা- মৃত ইসমাইল, ঠিকানা- সুধারাম, নোয়াখালী।ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদানের পাশাপাশি জব্দকৃত একটি ড্রেজার ও একটি বাল্ক হেড নৌ পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীল রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে । স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, নদীর পাড় কেটে বালু তোলার কারণে আশপাশের গ্রাম ও স্থাপনাগুলো ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

Leave a Reply