মোঃ আনিসুর রহমান আগুন, গাইবান্ধা থেকেঃ
প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সৌদি সরকার কুরবানীর দুম্বার মাংস বাংলাদেশে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। তবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এর সুষ্ঠু বিতরণ নিয়ে নানান মহলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের প্রশ্ন অসহায় ও দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত এই মাংস আসলেই কি তাদের কাছে পৌঁছেছে? নাকি প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও চেয়ারম্যানদের মাঝে ভাগ বাটোরা করা হয়েছে!
স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা গেছে, দুম্বার মাংসের একটি অংশ প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ও কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির পেটে চলে গেছে। অসহায় ও দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও তা অনেকে পাননি। শনিবার সন্ধ্যায় টিপিটিপি বৃষ্টির সময় এসব মাংস বিতরণ করা হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জন্য ৪২টি কার্টুন মাংস বরাদ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি কার্টুনে ২০ কেজি করে মাংস রয়েছে। অর্থাৎ মোট ৮৪০ কেজি মাংস বরাদ্দ পেয়েছে। স্থানীয়দের অনেকে বলছেন এখানে নাম সর্বস্ব তালিকা দিয়ে অনেকে মাংস তুলে নিয়ে গেছে তাদের কোন প্রতিষ্ঠান নাই। এছাড়া চেয়ারম্যানরা যে সকল নামের তালিকা দিয়েছে সেগুলো তাদের নিজের মনগড়া প্রতিষ্ঠানের নাম। যেগুলোর কোন ভিত্তি নাই। সেই সাথে রাজনীতিক নেতারাও মাংসের কার্টুন নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে পিআইও মোঃ মশিয়ার রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজকুমার বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ৪২কার্টুন দুম্বার মাংসের মধ্যে চেয়ারম্যানদেরকে ৩০ কাটুন এবং পৌরসভাসহ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ কার্টুন বিতরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply