মহেশপুরে কালবেলা প্রতিনিধিকে হা-রামজাদা বললেন – আনসার কর্মকর্তা

শহিদুল ইসলাম,
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধিকে হারামজাদা বলে গালি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুনের বিরুদ্ধে।

তিনি মোবাইল ফোনে বলেন হারামজাদা সাংবাদিক এখনো আছে না চলে গেছে, আপনি কি হারামজাদা সাংবাদিকের সামনে দাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলছেন। মোবাইলের অপরপ্রান্ত থেকে উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনের সাথে এমন ভাষায় কথা গুলো বলছিলেন মহেশপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে আনসার ভিডিপি সদস্যেকে দেওয়া পাকা ঘর তৈরিতে রঙ্গিং টিনের পরিবর্তে নিন্মমানের সাদা টিনে রঙ্গিং রং করা হচ্ছে এমনি তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালবেলার মহেশপুর উপজেলা প্রতিনিধি শামীম খান জনী। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন। গনমাধ্যম কর্মীকে দেখেই তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। কোন কিছু জানতে চাওয়ার আগেই তিনি সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচারণ করেন এবং দ্রত সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষন পর ঘর বরাদ্ধ পাওয়া সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনকে ফোন করেন। এবং ফোনে তিনি রেবেকা খাতুনকে বলেন, হারামজাদা সাংবাদিক এখনো আছে না চলে গেছে, আপনি কি হারামজাদা সাংবাদিকের সামনে দাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলছেন।
এমনি একাধিক বার হারামজাদা বলে সাংবাদিককে গালি দিতে শোনা যায়। যা একজন সরকারী কর্মকর্তার মুখ থেকে কেউ আশা করে না।

কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি শামীম খান জনী, সংবাদ সংগ্রহ করাই সাংবাদিকদের কাজ,আর সঠিক তথ্যে দিয়ে সহযোগিতা করা একজন সরকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব। কিন্তু আনসার কর্মকর্তা খুশি খাতুর তার উল্টো, তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলেই কোন এক অপশক্তির বলে সেই সাংবাদিককে হয়রানির স্বীকার হতে হয়। তিনি আরও বলেন ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে কালবেলাসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রত্রিকায় ঘুষ চাওয়াসহ অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। পুর্বের এসব জেরে আমাকে তিনি গালি গালাজ করাসহ অশোভন আচারণ করেছে।

এঘটনায় সাংবাদিক সমাজ আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহ দৃষ্টাস্ত মুলক শাস্তি ও দ্রত বদলি করার দাবি জানাচ্ছে।
উল্লেখ্যঃ গত ২২ সেপ্টম্বরে ঝিনাইদহের মহেশপুরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যেকে দেওয়া পাকা ঘর তৈরিতে নানা অনিয়ম ও দূর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে। নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরি করার ফলে নতুন ঘরে ওঠার আগেই দুশ্চিন্তার ভাজ পরেছে উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনের কপালে। এই শিরোনামে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়।
পরে নিন্মমানের জালানা পরিবর্তন করলেও ইস্টিমেটে রঙ্গিং টিনের জায়গায় নিন্ম মানের সাদা টিন পরিবর্তন না করে, সেই টিনে রং করে দেওয়া হয়েছে।
মোবাইলে সাংবাদিককে গালমন্দ করার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,উনি কিশের সাংবাদিক আমাকে তো তার আইডি কার্ড দেখাতে পারে নাই।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *