হেব্রোণ খ্রীষ্টিয়ান স্কুলে বিজ্ঞান মেলা অ-নুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার জেলা বমুবিলছড়ি চকরিয়া উপজেলার  হেব্রোণ খ্রীষ্টিয়ান স্কুলে আজ দু’ দিন ব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক দেওয়ালিকা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা ২০২৫। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এ মেলায় শিক্ষার্থীরা নানা উদ্ভাবনী প্রকল্প ও মডেল প্রদর্শন করেন।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সমাপনী দিনে মোট ১৫টি প্রকল্প স্থান পায়, যার মধ্যে সৌরশক্তিচালিত ঘর, পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ভূমিকম্প-নিরোধক স্থাপনা, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)–নির্ভর স্মার্ট হেলথ সিস্টেম, পরিকল্পিত স্কুল, স্টার ওয়াটার সাপ্লাই ও পরিকল্পিত সেমিনার ঘর অন্যতম স্থল দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, মেমোরিয়াল খ্রিস্টান উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংগঠনিক সচিব এবং ট্রান্সপেরেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি-চকরিয়া) সহ সভাপতি রুনেন্দু বিকাশ দে। বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক ও সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেব্রোণ খ্রিষ্টিয়ান স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্মিতা ত্রিপুরা। স্হানীয়  বিশিষ্ট শিক্ষক ও বিজ্ঞান অনুরাগীরা।
মেলায় শিক্ষার্থীরা রোবটিকস, নবায়নযোগ্য শক্তি, পরিবেশ সংরক্ষণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং মহাকাশ বিজ্ঞানের উপর তৈরি বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপন করে।

সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্রাইব্যাল এসোসিয়েশন অফ ব্যাপ্টিস্ট চার্চের চেয়ারম্যান মনতাজন ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস-চেয়ারম্যান ক্যজহা ত্রিপুরা, বিটিএবিসি মিনিস্ট্রি সহকারী পরিচালক লূক মিলন ত্রিপুরা, হেব্রোণ খ্রীষ্টিয়ান স্কুলে এস এম সি কমিটির সভাপতি সুভাষ ত্রিপুরা ও এস এম সি কমিটির সদস্য শ্যামাচরণ ত্রিপুরা প্রমুখ। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
 প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে মেলার উদ্বোধন করেন। শিক্ষার্থীরা সৌরশক্তি চালিত গাড়ি, স্বয়ংক্রিয় সেচযন্ত্র, প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার প্রকল্পসহ নানা উদ্ভাবনী প্রদর্শনী উপস্থাপন “সোলার চালিত সেচযন্ত্র” এবং “বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন” প্রকল্প ১৫ টি স্হল দর্শনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, “শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও প্রযুক্তিপ্রীতি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।” শেষে সফল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তী বছর আরও বৃহত্তর পরিসরে মেলা আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেলা শেষে বিচারকমণ্ডলীর শ্রেষ্ঠ প্রকল্প হিসেবে দশম দল প্রথম, সপ্তম দল দ্বিতীয়, ও পঞ্চম দল তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের, পরিকল্পিত স্কুল, স্টার ওয়াটার সাপ্লাই, পরিকল্পিত সেমিনার ঘর প্রকল্পকে পুরস্কৃত করেন। দেয়ালিকার শ্রেষ্ঠ হিসেবে, গল্প অষ্টম শ্রেণীর শান্ত ত্রিপুরা, কবিতা ৫ম শ্রেণির নভজিৎ মার্ক দাশ, অংকন নবম শ্রেণির সুবল ত্রিপুরা। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট এ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

দুইদিন ব্যাপী বিজ্ঞান মেলায় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। পুরো ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *