আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে সৌভাগ্য দূত হয়ে এসেছেন মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন।এই জনপদের মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নে তার কোনো বিকল্প নাই। অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌঁছাতে চাই,সেখান থেকে শরিফ উদ্দিনের রাজনীতি শুরু। নির্বাচনী এই এলাকা ভৌগোলিক বৈচিত্র্যেঘেরা। গোদাগাড়ীতে পদ্মার ধু-ধু বালুচর, তানোরে ঠা-ঠা বরেন্দ্রভূমি। এই আসনের মানুষের প্রত্যাশাও একটু ভিন্নমাত্রার। সেই প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্ব যার কাঁধে পড়ে, ভোটের আগে তাকে ঘিরেই হিসাব-নিকাশের পালা চলে। গেল তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে সে হিসাব মেলেনি। এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার (সাবেক) সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনকে নিয়ে সেই প্রত্যাশা পুরুণের স্বপ্ন দেখছেন এই জনপদের মানুষ। ইতমধ্যে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে অনেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তবে প্রায় ৬ আগে থেকেই শরিফ উদ্দিনকে মাঠ গোছানোর পরামর্শ দিয়ে তাকে সহযোগিতা করার জন্য বিএনপির নীতিনির্ধারণী মহল থেকে তৃণমুল নেতাকর্মীদের বার্তা দেয়া হয়েছে বলে মাঠ পর্যায়ে প্রায় প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে এমন আলোচনা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব তিনি রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে, এখানে তার কোনো বিকল্প নাই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই। অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌঁছাতে চাই,সেখান থেকেই শরিফ উদ্দিনের রাজনীতি শুরু। তার যে পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক মর্যাদা,ব্যক্তি অর্জন তাতে রাজনীতি থেকে তার নেয়ার কিছু নেই, তবে দেবার অনেক কিছুই রয়েছে। তিনি যদি এমপি-মন্ত্রী হতে পারেন তাহলে তানোর-গোদাগাড়ীর উন্নয়নে বিপ্লব ঘটবে।কারণ বিএনপি সরকার গঠন করলে তার যোগাযোগ হবে সরাসরি (শেঁকড়) দল ও সরকার প্রধানের সঙ্গে।আওয়ামী লীগের ১৫ বছর অন্যরা যখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে গোপণ আঁতাত করে নিজেদের ভাগ্যবদল করেছেন,তখন বিএনপি করার অপরাধে শরিফ উদ্দিনকে সময়ের আগেই চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। এই একটি ঘটনায় প্রমাণ করে আদর্শিক বিএনপি কে বা কারা ?
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তরাজশাহী-১ আসনে বিএনপির অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব প্রয়াত প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পরবর্তী নেতৃত্ব হিসেবে তৃণমূলে শরিফ উদ্দিন আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন। প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুলের অবর্তমানে যদি কেউ নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিতে ও ব্যারিষ্টারের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে পারেন সেটা শরিফ উদ্দিন ব্যতিত আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুলের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো তার পক্ষেই সমাপ্ত করা সম্ভব বলে মনে করেন ভোটারগণ।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি দলের ও দুজন সরকার প্রধানের সামরিক সচিব এবং সাবেক মেজর জেনারেল পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে সরাসরি নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। এটা নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য পরম সৌভাগ্যর যে এতো বড় মর্যাদা সম্পন্ন নেতৃত্ব তাদের মাঝে এসেছেন। এটা তাদের গৌরবও বটে।তিনি এই জনপদের মানুষের
সৌভাগ্য দূত হয়ে এসেছেন।এই জনপদের মানুষের উচিৎ দলমত নির্বিশেষে সকলের উর্ধ্বে উঠে সকল মতপার্থক্যে বা ভেদাভেদ ভুলে
সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাকে বিজয়ী করা। কারণ তার মতো এত বড় মাপের পদমর্যাদা সম্পন্ন নেতৃত্ব এই জনপদের মানুষ আগামি একশ’ বছরেও পাবেন কি না তা ভাগ্যের বিষয়। এদিকে বিএনপির তৃণমূলের দাবি এই জনপদের মানুষ প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক পরিবারের বিকল্প কোনো নেতৃত্ব কখানো কোনো অবস্থাতেই কল্পনাও করে না।
জানা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে ২টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬২ হাজার ২৪২। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ৫১০ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে তিনজন। এই আসনের নতুন ভোটারের সংখ্যা ৭ হাজার ৫৪২। এছাড়াও এই দুই উপজেলার বিএনপির দায়িত্বশীল
সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দগণ সরাসরি ও প্রকশ্যে শরিফ উদ্দিনের পক্ষে মাঠে রয়েছেন। এ আসনে সবচেয়ে বেশি ভোটার চরের বাসিন্দা,সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর। মূলত তাদের ভোটেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হয় বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন জানান, দলের কিছু নেতা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। কেন্দ্র বিষয়টি জানে। তিনি বলেন, দলের আদর্শিক ও মুলধারার নেতা এবং কর্মী-সমর্থকগণ তাকেই প্রার্থী হিসেবে চায়।#
রাজশাহী-১ আসনে সৌভাগ্য দূত শরিফ উদ্দিন

Leave a Reply