নাগেশ্বরীতে পশ্চিম সাপখাওয়া প্রাইমারিতে ভোট কেন্দ্র বহাল রাখার দাবিতে অভি-যোগ

এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সাপখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র (২৫শতাধিক ভোটার) স্থানান্তর করার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে স্থানীয় ভোটার ও এলাকাবাসী। দেশ স্বাধীনতার পর থেকে ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সাপখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপখাওয়া, মন্দিসেরখামার, পশ্চিম সাপখাওয়া, সরকারটারী ও মধুরহাল্লা মহল্লার মানুষ অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে তাদের ভোট প্রদান করে আসছিলো।

কিন্তু হঠাৎ করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ অতি-কৌশলে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের যোগসাজসে এবং কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে পশ্চিম সাপখাওয়া ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করে প্রায় ৩কিলোমিটার দূরে নবাগত এমপিওভুক্ত মধুরহাল্লা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করার পায়তারা চলছে। এরই প্রতিবাদে শনিবার (২৫অক্টোবর) সকালে পশ্চিম সাপখাওয়া বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র মাঠে এলাকাবাসী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এ নিয়ে চলছে এলাকার ভোটারদের মাঝে চরম উত্তেজনা। এলাকার ভোটারের দাবি পূর্বের ন্যায় ভোট কেন্দ্র বহাল রাখার।

স্থানীয়রা প্রভাষক এস এম হাবিবুর রহমান, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আঃ কাদের, রফিকুল ইসলাম, ইউনুছ আলী, হাবিবুর রহমান সরকার, খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা এই ৫ গ্রামের বাসিন্দারা পশ্চিম সাপখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ভোট দিয়ে আসছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ অতি-কৌশলে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের যোগসাজসে জাল জালিয়াতি করে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের ভোট কেন্দ্র স্থানান্তরের পায়তারা করছে। প্রায় ৩কিলোমিটার দূরে মধুরহাল্লা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমাদের ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ভোট কেন্দ্রটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতার আওতাধীন এবং ৩কিলোমিটার দূরত্বর কারণে বৃদ্ধ ও মহিলাদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া অসম্ভব। এছাড়াও এই এলাকা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সুপরিচিত। তাই আমাদের দাবি ভোট কেন্দ্রটি পূর্ণবহাল রাখতে হবে। অন্যথায় আমরা এই ৫ গ্রামের মানুষ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করবো। তারা আরো বলেন, গত ২২অক্টোবর ২০২৫ তারিখে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক লিখিতভাবে কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও এখনো পর্যন্ত সুস্থ সমাধান হয়নি।

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, অভিযোগ হওয়ার পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ শুনলাম। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *