ময়মনসিংহে ডাঃ খাদিজা সিদ্দিক সুইটির প-দোন্নতি মানবসেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা

এটি এম সেলিম,
ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
চিকিৎসা সেবায় নিবেদন, মানবতা ও পেশাদারিত্বের উজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কৃতি নারী চিকিৎসক ডাঃ খাদিজা সিদ্দিক সুইটি।
২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের পদোন্নতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই ময়মনসিংহ ও ফুলবাড়ীয়া জুড়ে শুরু হয় আনন্দের জোয়ার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বন্যা বইছে।

মানবতার চিকিৎসক ডাঃ খাদিজা সিদ্দিক সুইটি পেশাগত দক্ষতা, আন্তরিকতা ও রোগীর প্রতি ভালোবাসা দিয়ে গাইনী বিভাগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে।
তিনি ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের কৃতি কন্যা।
রোগীর সেবায় নিবেদিত, বিনয়ী ও সদালাপী এই চিকিৎসককে অনেকেই মানবতার মা বলে অভিহিত করেন।

চিকিৎসক দম্পতির অনন্য দৃষ্টান্ত
ডাঃ সুইটির সহধর্মীণী ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বাবুল, যিনি প্রশাসনে যেমন সফল, তেমনি মানবিকতার প্রতীক।
তিনি বলেন,সুইটির পদোন্নতি আমাদের পরিবারের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি সমাজের জন্যও এক অনুপ্রেরণা।
একজন চিকিৎসক কেবল হাসপাতালের নয়, মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকলে তিনিই প্রকৃত ডাক্তার।

স্থানীয় ও সমাজের মানুষের প্রতিক্রিয়া
ফখর উদ্দিন মাসুম এক ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি বলেন,ডাঃ সুইটি শুধু একজন চিকিৎসক নন, তিনি সমাজের আলোকবর্তিকা। তাঁর হাসিমুখ ও বিনয় আমাদের মুগ্ধ করে।

ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক আব্দুস সাত্তার বলেন,ডাঃ সুইটি ও ডাঃ হুমায়ুন কবীর দম্পতি সেবার যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা সত্যিই অনুকরণীয়। তাঁরা আমাদের এলাকার গর্ব।

সমাজ সেবক জাকির হোসেন, স্থানীয় সমাজকর্মী বলেন,
ডাঃ সুইটি শুধু ডাক্তার নন, তিনি আমাদের এলাকার মেয়েদের জন্য রোল মডেল। তাঁর মতো নারীই সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে।

ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহামদ সিরাজুল ইসলাম
বলেন,ডাঃ হুমায়ুন কবীর বাবুল গরীবের ডাক্তার যিনি টাকা পয়সার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন মানুষের কষ্ট ও চিকিৎসাকে।
তাঁদের মতো দম্পতি সমাজে থাকলে স্বাস্থ্যখাত বদলে যাবে।

ফুলবাড়ীয়া সমিতি ময়মনসিংহের আহবায়ক এডভোকেট মাহবুবুর রশীদ তামান্না বলেন,ডাঃ খাদিজা সিদ্দিক সুইটি নারী শক্তি, শিক্ষা ও মানবসেবার উজ্জ্বল প্রতীক। তাঁর মতো নারীরাই সমাজে পরিবর্তনের আলো জ্বালান।”

নারীর সাফল্যে নতুন অধ্যায়
চিকিৎসা পেশায় নারীর অংশগ্রহণ আজ নতুন উচ্চতায়।
ডাঃ খাদিজা সিদ্দিক সুইটি প্রমাণ করেছেন নিষ্ঠা ও মানবতা থাকলে নারীও সমাজে আলো ছড়াতে পারেন।
তাঁর এই পদোন্নতি শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি ফুলবাড়ীয়া ও ময়মনসিংহবাসীর গর্ব,
এবং আগামী প্রজন্মের নারীদের জন্য এক প্রেরণার বাতিঘর।

পারিবারিক গৌরব ও সামাজিক অবদান
রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের মরহুম মোবারক হোসেনের পুত্রবধূ ডাঃ খাদিজা সিদ্দিক সুইটি,
এবং সিভিল সার্জন ডাঃ হুমায়ুন কবীর বাবুলের সহধর্মিণী হিসেবে তাঁদের পরিবার স্থানীয়ভাবে পরিচিত সহনুভূতিশীল চিকিৎসক পরিবার হিসেবে।
তাঁদের মধ্যে নেই অহংকার বা রাগ আছে বিনয়, সহানুভূতি ও সেবার মনোভাব।

মানবতার চিকিৎসক হিসেবে ডাঃ খাদিজা সিদ্দিক সুইটি ও ডাঃ হুমায়ুন কবীর বাবুল কেবল চিকিৎসা পেশায় নয়, সমাজে মানবিকতার আলো ছড়াচ্ছেন।
তাঁদের সাফল্য প্রমাণ করে
সত্যিকারের চিকিৎসা মানে কেবল প্রেসক্রিপশন নয়, বরং এক মমতাভরা হৃদয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *