আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:
নেছারাবাদে স্বপরিবারে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে জানতে পেরে দাওয়াত না খেয়েই ফিরে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। পরে কাজী বিয়ে না পড়িয়েই খাওয়া দাওয়া না করে চলে যান তিনিও। ফলে বিয়ে অনুষ্ঠানটি আর সম্পন্ন হয়নি।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দৈহারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কনের বয়স ১৬ বছর বলে জানা গেছে। সে গেল বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়। এ বছরই তার বিয়ের আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, বর শেখ মো. অনিক (২৩) জগন্নাথকাঠি গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে এবং কনে মোসাম্মৎ মুন্নি আখতার (১৬) দৈহারী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে।
বিয়ে পড়াতে যাওয়া কাজী মো. ইসহাক আলী বলেন, “প্রথমে আমাকে জানানো হয় মেয়ের বয়স ১৮ বছর। পরে কনের প্রকৃত বয়স ১৬ জেনে আমি বিয়ে পড়াইনি। ইউএনও সাহেবও বিষয়টি জানার পর স্বপরিবারে না খেয়েই চলে যান।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমীন জানান, “বিয়ে বাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। ইউএনও সাহেব স্বপরিবারে দাওয়াতি ছিলেন। কনের বয়স কম শুনেই চলে গেলে কাজী এবং আমি নিজেও ফিরে এসেছি। আমরা কোন খাওয়া দাওয়া করিনি।
ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি ব্যক্তিগত অনুরোধে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কনের বয়স কম জেনে আইনগত ও নৈতিক দিক বিবেচনায় দাওয়াত না খেয়েই ফিরে এসেছি। পরে জানতে পেরেছি, বিয়েটি আর হয়নি।

Leave a Reply