রফিকুল ইসলাম ।।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় মৌডুবী ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মৌডুবী ইউনিয়নের মৌডুবী বাজার সংলগ্ন মাঠে এ সমাবেশ হয়। সকাল থেকে সভা স্থলে ইউনিয়নের ইসলামী আন্দোলনের ও কিছু সংক্ষক জামায়াত নেতা-কর্মীরা দুপুর থেকে জড়ো হতে শুরু করেন। এতে প্রায় ১৫ শত নেতা-কর্মী অংশ নেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ১১৩ পটুয়াখালী-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থী।
জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় সরব হয়ে উঠছে রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মৌডুবী ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসলামী আন্দোলন মৌডুবী ইউনিয়নের সদর মো: রেজাউল করিম হাওলাদারে সভাপতিত্বে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,
সভাপতি রাঙ্গাবালী উপজেলা শ্রমীক আন্দোলন মো: নুর আলম মুন্সি, সভাপতি মৌডুবী ইসলামী আন্দোলন এইচ এম সালাউদ্দিন, সিনিয়র সভাপতি মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: বেলাল শিকদার, সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মৌডুবী ইউনিয়ন মো: আবুল কাশেম সোহাগ, সভাপতি বড়বাইশদিয়া ইসলামী আন্দোলন মুফতি মো: শাহাদাত হেসেন, প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক চরমোনাই ছাত্র আন্দোলন মো: বাইজিদ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মৌডুবী যুব আন্দোলন মো:মোসাদ্দেক হোসেন মোল্লা, মুজাহিদ কমিটি সাধারণ সম্পাদক রাঙ্গাবালী উপজেলা নজরুল ইসলাম ফরাজী, ইসলামী আন্দোলন প্রধান উপদেষ্ট মো: আমির হোসেন মোল্লা, রাঙ্গাবালী উপজেলা ইসলামী আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাহাবুবুর রহমান, রাঙ্গাবালী ইসলামী যুব আন্দোলন সভাপতি মো: ইউছুফ, ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ জিহাদী ও বাংলদেশ ইসলামী আন্দোলনে-জামাত ইসলামীর বিভিন্ন নেতা কর্মী উপস্থিতিতে সঞ্চালনা করেন মো: শাহাদাত হোসেন মাতুব্বর সাধারণ সম্পাদক মৌডুবী ইউনিয়ন।
পটুয়াখালী-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর এদেশে এখন নব্য স্বৈরাচার সৃষ্টি হয়েছে। একটি দল ক্ষমতায় যাবার আগেই সবকিছু দখল করে রেখেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী সহ সমমনা দল গুলোর নেতৃত্বে এই নব্য স্বৈরাচার হটিয়ে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেমেছি আমরা।” বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি নিজে আজীবন বিএনপির রাজনীতি করলেও ৫ই আগস্টের পরে এই দলটির অব্যাহত চাদাবাজি, লুটপাট আর দখলদারিত্বের ফলে বাধ্য হয়েছি পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করা দল ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিতে। তারেক রহমান বারবার সতর্ক করেও তার দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তাই যে দলের কর্মীরা এখনই তার নেতার আদেশ মানেনা তাদের দ্বারা আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ হতে পারে না।
Leave a Reply