আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী পুরণের লক্ষ্যে ভালুকা পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আধুনিক মানের পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বৃহস্পতিবার (১৬অক্টোবর) সকালে উপজেলার পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড মোড়ে পৌরসভার বাস্তবায়নে এ পাবলিক টয়লেটের উদ্বোধন করেন তিনি।
ভালুকা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার ভূমি ইকবাল হোসেন এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনপূর্ব বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন-ভালুকার সর্বোস্তরের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বাসস্ট্যান্ডে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ শুরু হলো। এ পাবলিক টয়লেটটি সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা দরকার। নইলে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে নির্মিত আধুনিক মানের এ পাবলিক টয়লেট কার্যত কোনো কাজে আসবে না। ভালুকা পৌরসভা এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মানবসম্পদ প্রকল্পের আওতায় এই পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করছে। নতুন এ পাবলিক টয়লেট ভালুকা পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ডের আওতাভুক্ত চালক,শ্রমিক,পথচারী,যাত্রীসহ সহ আশপাশের সাধারণ মানুষ এবং উপজেলা ও পৌরসভায় আসা সাধারণ নাগরিকদের স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে। আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন এই পাবলিক টয়লেটে নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা চেম্বার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, নিরাপত্তার জন্য পেশাদার পরিচ্ছন্নকর্মী ও মহিলা কেয়ারটেকারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রসঙ্গত, আধুনিক মানসম্মত এই পাবলিক টয়লেট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় পরিকল্পনায় স্থাপন করা হয়েছে।
পাবলিক টয়লেট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ভালুকা উপজেলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও মোটরযান কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা।
বাজার মালিক সমিতির এক বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি শৌচাগার নয়, এটি মানুষের স্বাস্থ্য ও সম্মানের সেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আমরা আশা করি।”
চালক সমিতিরর পক্ষ থেকে জানানো হয়- “এতদিন শৌচাগারের অভাবে সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হতো। এখন নারী, পুরুষ ও প্রতিবন্ধী সবাই এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। একটি আদর্শ পৌর বাসষ্টেন্ড গঠনে শৌচাগারের গুরুত্ব অপরিসীম।দীর্ঘদিনের দাবী পুরণ হওয়ায় ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান উপজেলার বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর মানুষ।
Leave a Reply