নেছারাবাদে প্রধান শিক্ষক বি-রুদ্ধে স্বাক্ষর জা-লিয়াতির অ-ভিযোগ

আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি //

১২১নং গণপতিকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষক অনুপ রায় এবং শিলা বিশ্বাসের স্বাক্ষর জাল করে দায়িত্বপালন কালীন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন (স্লিপ ও রুটিন মেরামত) বাবদ বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহকারি শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ অভিভাব সহ ৭১ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে অনুপ রায় উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে ব্যয় না করে শিক্ষা অফিসে পরিকল্পনা ও বিভিন্ন ভাউচারে তাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর বিষয়টি অনুপ রায়ের দৃষ্টি গোচর হয়।

অবসরে যাওয়ার পূর্বক্ষনে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাগজপত্র, রেজিস্ট্রার ও মালামালের হিসাব বুঝিয়া দেয়ার কথা বলায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে বিদ্যালয় চলাকালীন তার ছেলে সাগর রায় সহ অফিস কক্ষে এসে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ করেন।

অনুপ রায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের কাছে ৭১জনের গণ স্বাক্ষর করে লিখিত অভিযোগ সহকারে বিষয়টি উপস্থাপন করে এবং এলাকাবাসি ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের পরামর্শক্রমে অনুপ রায় নেছারাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।

এছাড়াও প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় অলকা বেপারীর সাথে অশ্লীল কথাবার্তার অডিও সোসাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে যা একজন প্রধান শিক্ষকের কাম্য নয়। এবং নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথেও খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায় বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। ওরা কি জানে একটি বিদ্যালয়ে কতটাকা বরাদ্দ আশে কতটাকা হাতে পাওয়া যায়। তাছাড়া আমি যা বরাদ্দ পেয়েছি তার বিদ্যালয়ের কাজে ব্যায় করেছি। আমার এখন অবসরে যাওয়ার সময় ওরা একটা ঝামেলা সৃষ্টি করে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান রয়েছে।

নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *