রফিকুল ইসলাম সুমন,
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন আইন ১৯২৭ ও করাতকল(লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ কে অমান্য করে, নোয়াখালীর সেনবাগে ৪৪ টি অবৈধ করাতকলে রমরমা বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
করাতকল স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত ১৯৫৬ সালের আইন অনুযায়ী ৩ বছরের কারাদন্ড ও অর্থ জরিমানার বিধান থাকলে এব্যাপারে উদাসীন রয়েছে সেনবাগ উপজেলা প্রশাসন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে লাইসেন্স বিহীন ৪৪ টি করাতকলের মালিকগন তাদের অনুমতি বিহীন করাতকল পরিচালনার কথা স্বীকার করেন।পাশাপাশি গণমাধ্যমকে জানান, সেনবাগ উপজেলা বন বিভাগে কর্মরত ফরেষ্টগার্ড শরিফকে বিভিন্ন সময়ে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে তাদের করাতকল গুলি চালিয়ে যাচ্ছেন। শরিফ প্রতিটি করাতকল থেকে ১৬ই ডিসেম্বর, ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২৬ শে মার্চ সহ বিভিন্ন দিবসে ১(এক) হাজার টাকা থেকে ২(দুই) হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে নেয়।এছাড়া ও বিভিন্ন সময়ে প্রতিটি করাতকল মালিক থেকে অর্থ আদায় করে। করাতকল মালিকদের নিকট হতে অর্থ আদায়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফরেষ্টগার্ড শরিফ গণমাধ্যমকে কোন সদুত্তর না দিয়ে বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তাদের চেহারা গুলো আমাকে দেখান, ওদেরকে আমি দেখে নিবো।আমাদের পাওয়ার না থাকলে কি আমরা সরকারি চাকুরী করি?
অবৈধ করাতকল স্থাপন,
পরিচালনা ও ফরেষ্টগার্ড শরিফের মাসোয়ারা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, সেনবাগ উপজেলা বন কর্মকর্তা মো: এহসানুল হক গণমাধ্যম কে জানান,সেনবাগের ৬০টি করাতকলের মধ্যে ১৬টি করাতকলের লাইসেন্স আছে। বাকী ৪৪ টি করাতকলের লাইসেন্স ও অনান্য প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্রই নাই। অধিকাংশ করাতকল মালিক ১৫ থেকে ২০ বছর যাবত লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধ করাতকল চালিয়ে যাচ্ছেন।
আমি কিছুদিন পরপর নোটিশ প্রেরন করে লাইসেন্স করার জন্য তাগিদ দেই, কিন্তু তারা এতে কর্ণপাত না করেই পূর্বের মতো অবৈধভাবে করাতকলগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন। আর বনপ্রহরী শরিফ করাতকল মালিকদের নিকট হতে টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি অবগত নই।কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে তাহলে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।
এদিকে লাইসেন্সধারী করাতকল মালিকগন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,,আমরা সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে,লাইসেন্স করে কি লাভ? বন বিভাগের অসাধু কর্মচারীদের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে অনেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের করাতকল গুলি। বৈধ করাতকল মালিকদের দাবি, খুব শীগ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ করাতকল মালিকদের বিরুদ্ধে যেন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
Leave a Reply