শহিদুল ইসলাম
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
১৩ ই অক্টোবর সকালে প্রকাশ্যে দিবালোকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউপির পুরন্দরপুর কানাইডাঙ্গা মাঠে অবস্থিত পুরন্দরপুর গ্রামের দত্তরবেড় পাড়ার মৃত, আহাম্মেদ মুন্সির ছেলে সুলতান মুন্সি নামে এক কৃষকের কাঁন্দি মুখো প্রায় অর্ধশত কলা গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে ইউপির রাখালভোগা গ্রামের মৃতঃ- পাচু খাঁর ছেলে ইউছুপ ও সোহরাব হোসেন নামের আপন সহোদর দুই ভাই। তবে কি কারণে এই কলা গাছ গুলো কাটা হয়েছে তার বিস্তারিত তেমন কিছুই জানা যায়নি।
এঘটনায় কৃষক সুলতান মৃন্সি বাদী হয়ে পাঁচু খাঁর দুই ছেলের নাম উল্লেখ করে মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এবিষয়ে কৃষক সুলতান মুন্সি জানান ২০১২ – ২০১৩ ও ১৪ ইং সালে ফতেপুর ইউপির রাখালভোগা গ্রামের মৃত, পাঁচু খাঁর ৫ ছেলের নিকট থেকে পুরন্দরপুর ১নং মৌজার কানাইডাঙ্গা মাঠে ৩৬, ৩৭, ৩৪, ৩০, ৩১ ও ৩৩ দাগে সর্ব মোট ৮৮ শতক জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ১২/১৩ বছর যাবত কোন ঝংঝাট ঝামেলা ছাড়াই ভোগ দখলে নিয়ে চাষআবাদ করে আসছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা আমাকে কোন কিছু না জানিয়ে হঠাৎ পাঁচু খাঁর দুই ছেলে ইউছুপ খাঁ ও সোহরাব খাঁ আমার লাগানো ফল মুখি ৩০/৪০ টি কলা গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। যার আনুমানিক মুল্য ২৫/৩০ হাজার টাকা হবে।
এসময় পাশে থাকা কর্মজীবি মাঠের কৃষি কাজে নিয়োজিত লোকজনের বাঁধার মুখে পড়ে তাহারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। খবর পেয়ে মাঠে গিয়ে দেখি তারা আমার প্রায় অর্ধশত কলা গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। আমি আইনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এঘটনায় ইউছুপ খাঁ ও সোহরাব খাঁনকে না পাওয়ায় তাদের কোন বক্তব্যই দেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply