অ-পরাধীদের আ-তঙ্ক আর সাধারণ মানুষের নির্ভরতার প্রতীক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ জেলা এলাকায় এখন অপরাধীরা গা ঢাকা দিচ্ছে , মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে—এ দৃশ্য এক সময় কল্পনাও করা যেত না। অথচ আজ তা বাস্তব। এর পেছনে যিনি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন, তিনি ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন। ক্রাইমের সফলতা বিবেচনায় সম্প্রতি তাকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্থ ও প্রশাসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। জেলাবাসী বলছেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন হচ্ছেন অপরাধীদের জন্য আতঙ্ক, আর সাধারণ মানুষের জন্য নির্ভরতার প্রতীক।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম (এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে গত কয়েক মাসে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন থানায় এলাকায় চালানো হয়েছে শতাধিক ছোট-বড় অভিযান। গ্রেফতার করা হয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও চাঁদাবাজদের। সম্প্রতি শারদীয় দুর্গাপুজায় নজির বিহীন নিরাপত্তায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া দুর্গোৎসবকে উপহার দিয়ে ময়মনসিংহ জেলা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দেন তিনি।

এছাড়া এক সময় জেলার ময়মনসিংহ নগরীসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ছিল অসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। তার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় বিভিন্ন থানার পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালানোর ফলে এখন এসব হোটেল অনেকটাই ‘পরিচ্ছন্ন’। হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত সভা ও সতর্কীকরণ উদ্যোগে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।

শুধু অপরাধ দমন নয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জোর দিয়েছেন জনবান্ধব পুলিশিংয়ের ওপর। যে কারণে থানায় এসে এখন সাধারণ মানুষ কোনো ভয় বা সংকোচ ছাড়াই অভিযোগ জানাতে পারছেন। তার কঠোরতা ও নির্দেশনায় ওসিরা নিজেই প্রতিদিন বহু মানুষের কথা শোনেন, সমাধান দেন, প্রয়োজনে মামলা গ্রহণ করেন।

সেবা গ্রহীতাদের অনেকে জানান- আগে থানায় যেতে ভয় লাগত। এখন নিজের সমস্যার কথা বলতে পারি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের মতো অফিসার থাকলে জেলার প্রতিটা থানার পুলিশের সেবা ও আইনশৃঙ্খলা এমনিই ভালো থাকবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে অপরাধীদের দমন করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা জোরদার করার মাধ্যমে জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে প্রতিটি থানা পুলিশের কার্যক্রম।

বিভাগীয় জেলা ময়মনসিংহে দায়িত্ব পালন করা যে কোনো পুলিশ কর্মকর্তার জন্য চ্যালেঞ্জিং, কারণ এখানে প্রতিনিয়তই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। তবে জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে আব্দুল্লাহ আল মামুন যোগদান করার পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর ময়মনসিংহে জেলায় যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল, চারদিকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, চুরি,ছিনতাই বেড়ে চলছিল, চারদিকে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো -তখনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তিনি পুলিশের মনোবল ও জনগণের মধ্যে আস্তা ফিরিয়ে আনেন। অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেন এবং ময়মনসিংহকে সন্ত্রাস ও মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে নিরলস পরিশ্রম করছেন।

তার নেতৃত্বে ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশের শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। অপরাধ দমনে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তিনি কখনো কারো কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেননি। বরং ঘুষখোরদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন এমনটাই মনে করেন সাধারণ মানুষ। “তার এই সততা ও দায়িত্বশীলতার কারণে তিনি ময়মনসিংহের দুর্নীতিবাজ, অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা, অপরাধীদের কাছে” আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন।

তিনি যোগদানের পর থেকে ময়মনসিংহকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ,দূর্নীতি,ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত করতে নিরলস ভাবে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও তিনি মব, নাশকতা প্রতিরোধ, সন্ত্রাস দমন, অস্ত্র উদ্বার, খুনের রহস্য উদঘাটন, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, অবৈধ পন্য উদ্ধার, জানজট নিরসন, মাদক ব্যবসা নির্মুল সহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে কাজ করছেন। যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন থানা এলাকার অপরাধ নির্মুলে তার মাঠে কাজের ব্যাপক সফলতাও দেখিয়েছেন।

জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্যরা বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন যোগদানের পর থেকে ময়মনসিংহ নগরীসহ সকল উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা, মাদক, চুরি-ডাকাতি বহুলাংশে বন্ধ হয়েছে। উনি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কারণে এখন মাদক অনেকটাই নির্মুলের পথে।সকলেই তার সফলতা কামনা করেছেন।

জেলা পুলিশের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও আধুনিক করার লক্ষ্যে তিনি নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ময়মনসিংহ জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ, মাদক, অস্ত্র ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে তার নেতৃত্ব প্রশংসার দাবীদার হয়ে উঠেছে।

অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও দায়িত্ববোধকে কাজে লাগিয়ে পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক তিনি জেলা পুলিশের কাজে প্রযুক্তিনির্ভরতা, তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ ও দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ব্যবস্থা চালু করার দিকে নজর দিচ্ছেন। ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন থানার ওসিদের পরামর্শ দিয়ে অপরাধ তথ্য বিনিময় আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অপরাধী চক্রের গতিবিধি শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারেও তিনি অনড় অবস্থান গ্রহণ করেছেন।

একজন আধুনিক চিন্তাধারার পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন ময়মনসিংহে পুলিশ বিভাগে শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন বলে দাবী ময়মনসিংহবাসীর।

তার দিক-নির্দেশনায় বিভিন্ন থানা পুলিশের কঠোর নজরধারীতে বর্তমানে ময়মনসিংহের মানুষ অনেকটাই নিরাপদ, যে কোন প্রয়োজনে নির্ভয়ে পুলিশের সাহায্য নিতে পারে মানুষ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুন এর মতো সৎ ও কর্মঠ পুলিশ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এক অনন্য উদাহরণ। তার নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে ময়মনসিংহ আরও নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হবে, এমনটাই মনে করেন সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *