কেএম সোয়েব জুয়েল।
দুইজন সহযোগির মাধ্যমে কৌশলে এক কলেজ ছাত্রকে (১৭) ডেকে নিয়ে বিএনপি নেতা কর্তৃক বলাৎকারের অভিযোগে বুধবার (৮ অক্টোবর) থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাৎক্ষনিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি মাসুদ সরদার ওরফে কিং মাসুদ খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসলেম সরদারের ছেলে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইতালী প্রবাসী মাসুদ সরদার ওরফে কিং মাসুদ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর নিজ এলাকায় আসেন। পরবর্তীতে তিনি (মাসুদ) ইতালী প্রবাসী বিএনপি নেতা দাবি করে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার ছবি সম্মিলিত ব্যানার ও পোস্টারের মাধ্যমে এলাকায় বিএনপির ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে পূর্ব সমরসিংহ গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে জানা গেছে-ভুক্তভোগী মাদারীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত কিং মাসুদ প্রথমে ফেসবুকে ম্যাসেজ দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর সহপাঠী কমলাপুর গ্রামের লোকমান সরদারের ছেলে ইমন সরদারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে সমরসিংহ বাজারে নিয়ে আসে। এরপর ইমন ভুক্তভোগীকে ভ্যানযোগে ইল্লা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে কিং মাসুদ ও ইমন ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রকে সাথে নিয়ে অপর অভিযুক্ত খাঞ্জাপুর গ্রামের সামসুল হক ফকিরের ছেলে নিলয় আহমেদের বসত ঘরে নিয়ে যায়।
এজাহারে আরও জানা গেছে-নিলয় ও ইমন ঘরের বাহিরে চলে যাওয়ার পর কিং মাসুদ ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। পরবর্তীতে বিষয়টি কাউকে না জানোর জন্য প্রধান আসামি কিং মাসুদ ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে।
এরপর ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র অসুস্থ হয়ে পরলে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত প্রধান আসামি মাসুদ সরদার ওরফে কিং মাসুদকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃত নিলয় আহমেদকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
Leave a Reply